বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর লাশের ময়নাতদন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে। সেখানে রামেক হাসপাতালের ডাক্তারসহ একজন ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করছেন।এদিকে, লাশের ময়নাতদন্তের আগে রামেক হাসপাতালের ডা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি কাগজ নগরীর রাজপাড়া থানায় গিয়ে পৌঁছালে থানার ডিউটি অফিসার এসআই তসলিমা সেটি গ্রহণ করেছেন। পরে তিনি পিন্টুর মারা যাওয়ার সংক্রান্ত বিষয়টি ইউডি মামলা রুপে থানায় লিপিবদ্ধ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে হাপাতালে নেয়ার আগেই তিনি মারা যান। তিনি ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে এলেও তার মৃত্যু আরো ১০/১৫ মিনিট আগে হয়েছে। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল।এদিকে, ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তারের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে পিন্টুর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।এদিকে, বিএনপি নেতা পিন্টুর লাশ গ্রহণ করতে তার আপন বড় ভাই নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ রিন্টু ও তার এক বন্ধু রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।তবে, মহানগর বিএনপির একটি সূত্রের মাধ্যমে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেছেন, বিএনপি নেতা পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে তাকে লোক দেখানো চিকিৎসার নামে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এর আগে গত ২০ এপ্রিল বিএনপি নেতা পিন্টুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল।এমএএস/আরআই
Advertisement