খেলাধুলা

১০ বছর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কমবে সুজন-তাসনিমের!

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে ভুতুড়ে বোলিং করে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছেন দুই বোলার মোহাম্মদ সুজন মাহমুদ এবং তাসনিম হাসান। সুজন ৪ বলে দিয়েছিলেন ৯২ রান। তার আগেরদিন ১.১ ওভার বল করে ৬৫ রান দিয়েছিলেন তাসনিম। যে কারণে, বিসিবি কঠোর শাস্তির পথেই হেঁটেছে। একই সঙ্গে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব এবং ফিয়ার ফাইটারকে।

Advertisement

তবে দুই বোলার সুজন-তাসনিমের শাস্তি কমানোর সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবির শৃঙ্খলা (ডিসিপ্লিনারি) কমিটি এবং ৪ বলে ৯২ রান তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সোহেল। তিনি আজ নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুই বোলারের শাস্তি সম্পর্কে জানিয়ে দেন, ‘দোষ স্বীকার করে তারা যদি আপিল করে, তাহলে অবশ্যই ভেবে দেখবো।’

তবে দুই বোলার নিজেদের ইচ্ছায় নয়, ক্লাবের ইচ্ছাতেই এমন গুরুতর অন্যায় করেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ সোহেল। এ ব্যাপারে তার মন্তব্য, ‘ক্লাব যদি পারমিশন না দেয় তাহলে একটা প্লেয়ার এমন করতে পারে না। আমার মনে হয় না, ক্লাবের অনুমতি ছাড়া একটা খেলোয়াড় এতবড় কাজ করতে পারে।’

শেখ সোহেলের মত হলো, ওই দুই বোলার ক্লাবের নিয়মিত না। তিনি বলেন, ‘আরেকটা পয়েন্ট হলো যেটা আমরা তদন্দ করে পেয়েছি, এখানে যে বোলাররা বল করছে তারা কী এই ক্লাবের নিয়মিত বোলার! অবশ্যিই না। এই বোলার কবে, দেড় দুই বছর আগে বল করেছে। অথচ তাকে এই ম্যাচে খেলাইছে। এতেই তো বোঝা যায় এটা ষড়যন্ত্রমুলক। এটা পূর্বপরিকল্পিত।’

Advertisement

কোন আইনের অধীনে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের এমন কঠিন শাস্তি দেয়া হলো? জানতে চাইলে শেখ সোহেল বলেন, ‘শাস্তি তো আইনের অধীনেই হয়েছে। তবে ১০ বছর শাস্তি দেয়ার মূল কারণ হলো, এই ঘটনার কারণে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে কিছু লোকের কারণে দেশের ক্রিকেটের সুনাম নষ্ট হয়েছে। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিলো না। এর ফলে বাকিরা যেন আরো বেশি সতর্ক এবং সচেতন হয়।’

তবে শাস্তিটা কী খুব বেশি হয়ে গেলো না? মোহাম্মদ আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বড় অপরাধ করার পরও এর চেয়ে লঘু শাস্তি পেয়েছে। অথচ এর চেয়েও কম অপরাধে এত বড় শাস্তি? শেখ সোহেল বলেন, ‘আশরাফুলের ক্ষেত্রটা ওই সময়ে যে বোর্ড ছিলো তারা যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। তবে আমরা অন্যায়ের মাত্রা দেখে শাস্তি দিয়েছি। এখানে কোন ছাড় দেয়া হয়নি। যাতে করে পরবর্তীতে এরকম ঘটনার যেন পূনরাবৃত্তি না হয়।’

আইএইচএস/এমএস

Advertisement