জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল। তবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে ঝুলিতে জমা করতে পারেননি কোনো উইকেট। যা হওয়ার হলো ঠিক তা-ই! জাতীয় দলে জায়গা হারালেন তানবির হায়দার।
Advertisement
তবে ফুরিয়ে যাননি তানবির। প্রমাণ করলেন আরও একবার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে স্বরূপে জ্বলে উঠলেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বল হাতে সফল। ৮.৫ ওভারে ৪১ রান দিয়ে পকেটে পুরেছেন ৫ উইকেট। তানবিরের ঘূর্ণিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯২ রানে হারাল শেখ জামাল।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাট করে শেখ জামাল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৯ রান তোলে আব্দুর রাজ্জাকের দল। জবাবে ৪৩.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স তুলতে সক্ষম হয় ২১৭ রান।
৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করা খুব একটা সহজ নয়। তার ওপর প্রতিপক্ষ কোনো এক বোলারের কাছে পাঁচ ব্যাটসম্যান ধরাশায়ী হলে তো জয়ের স্বপ্ন দেখাও কঠিন। হ্যাঁ, এমন কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৯ রান পায়। এই জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। ৩১ রান করা মিজানুর রহমানকে ফেরান তিনি। জুনায়েদ সিদ্দিকীও থেমেছেন দ্রুতই, ২৫ রানে।
Advertisement
ব্রাদার্সের হয়ে লড়াই করেছেন ফরহাদ হোসেন। ৭৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করে তিনিও শিকার সোহাগ গাজীর। মাইশুকুর রহমান করেছেন ৩০ রান। তানবির হায়দারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মাইশুকুর। অধিনায়ক অলক কাপালিও (১৩) ফিরেছেন তানবির হায়দারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে।
শেখ জামালের হয়ে তানবিরের ৫ উইকেট ছাড়া সোহাগ গাজী নিয়েছেন দুটি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন, ইলিয়াস সানি ও ফজলে মাহমুদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করা শেখ জামালের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন প্রশান্ত চোপরা। ১১৬ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ভারতীয় এই ক্রিকেটার খেলেছেন ১০৬ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ফজলে মাহমুদ করেছেন ৭৮ রান। আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রান।
ব্রাদার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন তিনজন বোলার; কাজী কামরুল ইসলাম, নিহাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ সাদ্দাম। মানভিন্দর বিসলা নিয়েছেন একটি উইকেট।
Advertisement
এনইউ/পিআর