চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়েছিল আবাহনী। এরপর কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। টানা দুই ম্যাচে পেয়েছিল হারের স্বাদ। হারের ধকল সামলে এবার জয়ে ফিরল আবাহনী। চ্যাম্পিয়নদের জেতালেন শুভাগত হোম ও সাইফ হাসান। আজ মঙ্গলবার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতল আবাহনী।
Advertisement
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। ৪৫.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে তুষার-আশরাফুলের দল। জবাবে ৩২.২ ওভারে (১১৮ বল বাকি থাকতেই) চার উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী।
১৫৭ রানের লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। ২০ রান করা লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন আবুল হাসানের শিকার হয়ে। অপর ওপেনার সাদমানও বিদায় নেন ২০ রান করে। নাজমুল হাসান শান্ত ২৪ রানে ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ।
তরুণ তুর্কি সাইফ হাসান মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেন। খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস। তার ৬১ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ ৬টি চার ও একটি ছক্কায়। সাইফ ধরাশায়ী হয়েছেন নাবিল সামাদের কাছে। আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ মিঠুন (২০ বলে ৩০* রান) ও আফিফ হোসেন (২*)। কলাবাগানের পক্ষে দুটি উইকেট নেন আবুল হাসান। আর একটি করে উইকেট লাভ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাবিল সামাদ।
Advertisement
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুভাগত হোমের ঘূর্ণিতে পড়ে কলাবাগান। ২৮ রানেই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। দুই ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়র (৯) ও তাসামুল হক (৪) ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। তিনে ব্যাট করতে নামা জসিমউদ্দিন করতে পেরেছেন ১৩ রান।
কলাবাগানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস অধিনায়ক তুষার ইমরানের। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস। মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে এসেছে ২২ রান। আশরাফুল নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। থেমেছেন ৭ রানেই।
আবাহনীর সেরা বোলার শুভাগত হোম। ১০ ওভারে দুটি মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিয়েছেন দুই উইকেট। আর একটি করে উইকেট লাভ করেছেন কাজী অনিক ও সাকলাইন সজীব।
এনইউ/এমএস
Advertisement