জাতীয়

নির্মল বায়ুর জন্য ১৪৬ কোটি টাকা খরচ

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, নির্মল বায়ু ও পরিবেশের টেকসই উন্নয়নকল্পে ১৪৬ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ’শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্প আগামী ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ’ প্রকল্পটির বাস্তবায়নের চিত্র সংসদে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বায়ু দূষণে মনিটরিং, ইটভাটায় বায়ু দূষণ, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা বা নীতিমালা প্রণয়ন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে ১৪৬ কোটি ৪ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।

অবৈধ ইটভাটাকে ১৭ কোটি টাকা জরিমানা

Advertisement

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি আবদুল লতিফ পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, বিশ্বব্যাংকের ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বায়ু দূষণে এক বছরে দেশে এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।’বিষয়টি সত্য হলে বায়ু দূষণরোধে সরকারের কী পদক্ষেপ জানতে চান তিনি।

জবাবে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদন তৈরিতে উৎস হিসেবে ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে প্রাপ্ত উপাত্ত, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, রান্নায় ব্যবহৃত জ্বালানি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুমানের মাত্রা মডেলের মাধ্যমে এক ধরনের প্রক্ষেপণ বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বায়ু দূষণ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেরও একটি সমস্যা।

সমস্যা নিরসনে সরকারের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দূষণকারী সব ইটভাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫০৫টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে ১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৮৫টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যানবাহনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিতভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গাড়ির ধোঁয়া পরিবীক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পেট্রল ও ডিজেলচালিত মোট পাঁচ হাজারের বেশি মোটরবাইক, কার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক এবং অটোরিকশা নিঃসৃত ধোঁয়া পরিবীক্ষণ ও ফলাফল বিশ্লেষণপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

সরকারের পরিবেশবান্ধব নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশে ১০ লাখ ‘বন্ধু চুলা’ ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ ও বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ইমপ্রুভড কুক স্টোভস সিলেকটেড এরিয়ায় বিতরণ করা হয়েছে এবং বায়ু টেকসই পরিবেশ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এইচএস/জেডএ/ওআর/পিআর