এএফসি কাপটা এখন আবাহনীর গলার কাঁটাই বলা যায়। অর্ধেক পথ পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটি যেন আসরটি শেষ করতে পারলেই বাঁচে। ঢাকা ও কলকাতার পর বেঙ্গালুরুতেও হার। এবার ঘরের মাঠে আবাহনীর আরেকটি বেঙ্গালুরু পরীক্ষা। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে।
Advertisement
আবাহনী প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছে। এক কথায় এএফসি কাপ থেকে ছুটি হয়ে গেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। যে তিনটি ম্যাচ বাকি তাদের, তা আক্ষরিক অর্থে আনুষ্ঠানিকতা। ঘরের মাঠ বলে আকাশি-হলুদরা একটু আশা করছে, তবে সে আশার মধ্যে নেই কোন দৃঢ়তা। প্রতিপক্ষকে সমীহ করে এবং ফেবারিট ধরেই চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে দ্রাগো মামিচের শিষ্যরা।
এএফসি কাপে সর্বশেষ ম্যাচ আবাহনী খেলেছে এই বেঙ্গালুরু এএফসির বিরুদ্ধেই। প্রতিপক্ষের মাঠে আবাহনী খারাপ খেলেনি। যদিও ২-০ গোলে হেরে ঘরে ফিরেছে বাংলাদেশের জায়ান্টরা। সর্বশেষ দুই ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফ। এ ম্যাচে মামিচ পাচ্ছেন এ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে। তিন বিদেশি খেলাতে পারবে, যা আবাহনীর জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক।
মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আবাহনী কোচ দ্রাগো মামিচ বলেছেন, ‘আমাদের অনেক সমস্যা আছে। তারপরও বলবো আগের চেয়ে দলের অবস্থা কিছুটা ভালো। আগের ভুলত্রুটি শুধরে এই ম্যাচে আমাদের ভালো করা উচিত। অবশ্যই জয়ের জন্য খেলব আমরা। আসলে এএফসি কাপটা আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। যতটা প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল, ততটা হয়নি।`
Advertisement
অধিনায়ক মামুন মিয়া বাস্তবতা মেনেই বললেন, ‘এখন আর এ টুর্নামেন্টে আমাদের হারানোর কিছু নেই। তারপরও আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবো। একটি জয় এলে বাকি দুই ম্যাচে আরো ভালো ফল হতে পারে। নিজেদের মাঠে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আমাদের। চেষ্টা থাকবে অন্তত ঘরের মাঠের ম্যাচ দুটি জিততে।’
এ ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এএফসি কাপের বর্তমান রানার্সআপ বেঙ্গালুরু এএফসির জন্য। জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা তাদের জন্য আরো সহজ হবে। দলের স্প্যানিশ কোচ আলবার্তো রোকা পিউল সে কথাটাই শোনালেন, ‘এ ম্যাচ জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা আমাদের জন্য ৮০ থেকে ৯০ ভাগ নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে ম্যাচটা জেতা সহজ হবে না। আমরা সর্বশক্তি দিয়েই খেলবো। যাতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরতে পারি।’
আরআই/আইএইচএস/এমএস
Advertisement