বিনোদন

চলচ্চিত্রের স্বার্থে ক্ষমতা চান মিশা-জায়েদ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৭-১৮ মেয়াদে নির্বাচনে সভাপতি পদে অংশ নিচ্ছেন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন জায়েদ খান। এই দুই অভিনেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি প্যানেল। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিনদিন। এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এফডিসিতে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন মিশা-জায়েদ খান ও তার প্যানেলের সদস্যরা।

Advertisement

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়াই করা চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। ইন্ডাস্ট্রিকে আবারও চাঙ্গা করতে কাজ করব আমরা। আপনারা আমাদের পাশে থাকুন।’

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান বলেন, ‘আজ আমরা আপনাদের সামনে এসেছি অনেক আশা নিয়ে। পরিবর্তনের প্রত্যাশায়। শিল্পীদের প্রাণের সমিতিকে অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজে লাগিয়েছেন। চেয়ারগুলোকে কলুষিত করেছেন। শিল্পীদের স্বার্থ দেখার বদলে শিল্পীদের বেকার করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘একসাথে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে আন্দোলন করেছি। সবাইকে ফেলে রেখে নেতা হয়েও কেউ কেউ ভারতের দালালি করছেন। নিজের অস্তিত্ব বিলীন হবার পথে উপলদ্ধি করতে পেরে নির্বাচন বন্ধের হুমকি দেন। এসব হাস্যকর। শিল্পীদের কাছে নিজের সম্মান ধরে রাখুন।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পীদের সদস্য করার জন্য ২৫ হাজার টাকা ফি ধরা হয়েছে। এটা অযৌক্তিক। আমরা এটাকে ১০ হাজারে নামিয়ে আনবো। সবকিছুতেই শিল্পীদের প্রাধান্য থাকবে। ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি অবদান শিল্পীদের। কিন্তু সবচেয়ে অবহেলিত শিল্পীরাই। কোনো সিদ্ধান্তের বেলায় শিল্পী সমিতির কথা কেউ ভাবে না। এইসব জায়গাগুলোকে আমরা সুন্দর করবো। আশা করি আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। যৌথ ‘প্রতারণা’র ছবি বন্ধ করাসহ সবরকম অনিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করার সহায়তা করবেন।’

জায়েদ খান সিনিয়র শিল্পীদের সম্মান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা প্যানেল করেছি সিনিয়র শিল্পীদের মাথার উপর রেখে। আমাদের ভুল হলে ফারুক, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চনরা আমাদের হাত দিয়েও মারতে পারবেন। আমরা তাদের আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শ মেনে চলব। এইসব তারকারা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অহংকার।`

সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের বাঁচাতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে। চলচ্চিত্রের স্বার্থে আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে চার চারবার শিল্পী সমিতির নানা পদে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী করেছেন। আশা করছি এবারও আপনারা আমার পাশে থাকবেন। এক ঝাঁক প্রিয়মুখ, কাজের পরীক্ষিত মানুষদের নিয়ে আমরা প্যানেল করেছি ঢাকাই ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো বলে। আপনাদের ভোট আমরা চাই।’

Advertisement

মিশা আরও বলেন, ‘আমরা কিছু প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ভোট চাইতে এসেছি। আমাদের ইশতেহার আপনারা এরইমধ্যে আপনারা পেয়েছেন ও জেনেছেন। আমরা প্রতিশ্রুতি নয়, কাজে বিশ্বাসী। আপনারা পাশে থাকলে বিজাতীয় ভাষা ও ভিনদেশের ছবি অনিয়ম করে এদেশে আসতে দেব না। নেতৃত্বকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানো থেকে শিল্পী সমিতিকে হেফাজত করবো। আপনাদের পরামর্শ শোনা হবে। সমিতির সামনে অভিযোগ বাক্স থাকবে। সেখানে আপনারা নিজেদের অভিযোগ জানাবেন, আমরা সমাধান করবো। ৫ তারিখে আমরা আপনাদের রায় চাই, আমাদের পক্ষে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা ছটকু আহমেদ, বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, ফারুক, কবরী, সুচরিতা, আনোয়ারা, আমিন খান, রিয়াজ, পপি, সাইমন, নূতনসহ আরো অনেকে।

প্রত্যেকে আগামী ৫ তারিখ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য শিল্পীদের অনুরোধ করেন।

এলএ/এনই/আরআইপি