মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য অনেককিছুই করে থাকি আমরা। কয়েল জ্বালানো থেকে শুরু করে অ্যারোসেল স্প্রে করা কোনো কিছুই বাদ রাখিনা। কিন্তু যদি শোনেন মশার কামড় খাওয়ার প্রতিযোগিতা হয় কোথাও। তাহলে নিশ্চয় বিস্মিত হবেন।
Advertisement
শুনতে অবাক লাগলেও মশার কামড় খাওয়ার এই প্রতিযোগিতার হয় রাশিয়ার বেরেজনিকি শহরে। বিচারকরা রীতিমত বিচার করেন কে কটা কামড় খেল।
রিও অলিম্পিকে যখন কয়েকজন অ্যাথলেটিক গেমস ভিলেজ ছেড়ে পালিয়েছেন মশার কামড়ের ভয়ে তখন ভাবতে পারছেন অনেকেই সেধে মশার কামড় খাচ্ছেন প্রতিযোগিতায় এসে।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা জিকা ভাইরাসের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও প্রতিযোগীদের মধ্যেও উত্সাহের বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকে না।
Advertisement
রাশিয়ার উড়াল পর্বতের বেরেজনিকি শহর আয়োজন করে এই প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগীদের শর্টস, ট্যাঙ্ক টপ পরে চেরি ফল পাড়তে বনে যেতে হয়। ফিরে আসার পর তাদের পর্যবেক্ষণ করেন বিচারকরা। যার শরীরে যত বেশি মশার কামড়ের দাগ, সে তত এগিয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার বিজয়িনীকে বলা হয় ‘টেস্টিয়েস্ট গার্ল’। বিজয়ী হওয়ার জন্য তাকে সহ্য করতে হয় একের পর এক মশার কামড়। বিজয়ীর উপহার সেরামিক কাপ।
বেরেজনিকি শহরের বাসিন্দাদের কাছে মশা-ই হিরো। তাকে কেন্দ্র করেই এমন আজব উৎসব। রাশিয়া ঠান্ডার দেশ। মশাবাহিত রোগও এখানে অনেক কম। তাই এই উত্সবের কোনও কুফল নেই।
যদি ভেবে থাকেন কী অদ্ভুত কাণ্ড! তাহলে কিন্তু ভুল করবেন। শুধু রাশিয়া নয়, টেক্সাসেও প্রায় একই ধরনের উত্সব পালিত হয়। নাম ‘বেস্ট লুকিং মশকোয়াটো লেগস’।
এআরএস/জেআইএম
Advertisement