পারলেন না বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সরা; আর তাতে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও। হারের বৃত্তেই তাই ঘোরপাক খেতে হচ্ছে গত আইপিএলের রানার্স-আপ দলটিকে। এবার প্লে-অফের আশা নেই। তাই শেষ দিকে ভালো কিছু নিয়ে বিদায় নিতে পারলেও চলতো। সেটাই বা আর হচ্ছে কই? আজ যেমন বেঙ্গালুরু পেল আরেকটি হারের স্বাদ। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কোহলির দলকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
Advertisement
এই জয়ের সুবাদে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রোহিত শর্মার দল। পেছনে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ১০ ম্যাচের ৮টিতে জিতে মুম্বাই নামের পাশে যোগ করেছে ১৬ পয়েন্ট। আর সমসংখ্যক ম্যাচ খেলা কেকেআরের সংগ্রহ ১৪। কোহলির বেঙ্গালুরু ১১ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে জমা করতে পেরেছে মাত্র ৫ পয়েন্ট!
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা মুম্বাইর শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ওপেনার পার্থিব প্যাটেল। এই সামলে উঠেও জয় পেয়েছে মুম্বাই। অধিনায়ক রোহিত শর্মা খেলেছেন সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
৩৩ রান করেছেন জস বাটলার। নিতিশ রানার ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান। কাইরন পোলার্ড থেমেছেন ১৭ রানে। আর ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বেঙ্গালুরুর পক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছেন পবন নেগি। একটি করে উইকেট দখলে নেন অনিকেত চৌধুরী, যোগেন্দ্র চাহাল ও শেন ওয়াটসন।
Advertisement
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বেঙ্গালুরু। শুরুটা ছিল সাবধানী। কিন্তু কিছু দূর যেতেই পা ফসকে গেছে। ৩১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। সবার আগে সাজঘরে ফেরেন মানদ্বীপ সিং; করন শর্মার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে। বিদায়ের আগে মানদ্বীপ নামের পাশে যোগ করেন ১৩ বলে ১৭ রান।
কোহলিও পরক্ষণে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক শিকার মিচেল ম্যাকক্লেনেঘানের। ১৪ বলে দুটি ছক্কায় ২০ রান করতে পেরেছেন কোহলি। ট্রাভিস হেডের ব্যাটিংটা টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। ১৫ বলে করেছেন মাত্র ১২ রান। ঝড় তোলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাকে থামিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভিলিয়ার্স-ঝড় সমাপ্তি ঘটে ৪৩ রানে। তার ২৭ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি করে চার ও ছক্কায়।
কেদার যাদবের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। একি করলেন শেন ওয়াটসন? ৫ বলে ৩ রান করেই বুমরাহর বলে সরাসরি বোল্ড হন অসি অলরাউন্ডার। পবন নেগি মান রেখেছেন। ২৩ বলে ১টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৫ রান করেছেন নেগি। মুম্বাইয়ের পক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। করন শর্মা ও বুমরাহ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এনইউ/এমএস
Advertisement