প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জাবেদ আহমেদ বলেছেন, বিদেশে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সরকার নন-ইকোনমি খরচ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের পর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকরা বিনা খরচে বিদেশে যাবেন। এর মধ্যে কেবল ইকোনমি খরচটাই বহন করতে হবে শ্রমিকদের।
Advertisement
অনেক দেশেই অভিবাসন খরচ শূন্যের কোঠায় দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষনে সুপারিশমালা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৫টি দেশে ২৮টি লেবার উইং রয়েছে ২৫/৩০ লাখ শ্রমিকের বিপরীতে, তা কমই। সরকার লোক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
সচিব বলেন, সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠাতে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এই খরচ আরও কমানো হবে। ২০৩০ সালের পর যেন বিদেশে শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায় পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টসের (আরবিএম) আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রোখসানা ইয়াসমিন ছুটি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জনশক্তি রফতানি সংস্থার (বায়রা) যুগ্ম-মহাসচিব-২ শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।
অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শিপা হাফিজা বলেন, অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ করা ও স্বচ্ছতার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইট আরও যুগোপযোগী করা দরকার।
বায়রার যুগ্ম-মহাসচিব-২ শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, রাতারাতি অভিবাস খরচ কমানো সম্ভব নয়। তবে পরিকল্পনা রয়েছে। শ্রম বাজার যদি চাঙা হয়, বাজার বড় হলে খরচ এমনিই কমে আসবে।
Advertisement
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, দৌরাত্ম বন্ধে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের (দালাল) উপর সরকারি নজর রাখা যেতে পারে। কিন্তু দালালী প্রক্রিয়া বন্ধ করা ঠিক হবে না। কারণ, এখনো যেসব শ্রমিক বিদেশ যেতে আগ্রহী তারা তাদের আঞ্চলিক দালালের একটা যোগসাজশ চায় নিরাপত্তার স্বার্থে। অভিবাসন সংক্রান্ত ফোরামগুলো সক্রিয় ও কার্যকর করা উচিৎ।
জেইউ/এনএফ/এমএস