হাজিরা কার্ড জালিয়াতিতে প্রত্যক্ষ জড়িত দুই কর্মীসহ অন্যান্যদের বিরেদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। রোববার সচিবালয়ে এভিয়েশন সংক্রান্ত প্রকল্পে এডিবি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
Advertisement
সভায় বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদের কাছে। এ সময় মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, ঘটনা জানার পরপরই প্রাথমিকভাবে বিমান প্রশাসন জড়িত দুই কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। তিনি বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও উল্লেখ করেন।
হাজিরা কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাশেদ খান মেনন এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব আবু নাছের মোহাম্মদ জিয়াউল হককে। মন্ত্রীর নির্দেশনার পরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক প্রশাসনকে একটি ফ্যাক্স পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) এম মমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখনো অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
এদিকে দুই কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বিমানের সিবিএ নেতারা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে তারা প্রশাসনকে চাপ দেয়া শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে কাস্টমার, গ্রাউন্ড ও কার্গো শাখার শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন বলে বিমানের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিমান কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য বিমান শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী নয়।
উল্লেখ্য, ছয় থেকে সাতজন সিবিএ কর্মী ও ক্যাজুয়াল কর্মচারী প্রায়ই অফিসে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার সময় নিজের কার্ডের পাশাপাশি আরও ১০ থেকে ১২টি করে আইডি কার্ড পাঞ্চ করে আসছিলেন। এরপর তাদের চিহ্নিত করে সব আইডি কার্ড নিয়ে নেয় বিমানের সিকিউরিটি প্রশাসন। এ ঘটনায় স্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে জুনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার বেলাল হোসেন ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বুধবার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এ জালিয়াতি ধরে ফেলে বিমান প্রশাসন।
আরএম/জেডএ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement