বিশেষ প্রতিবেদন

হাওরের কান্নায় সাড়া নেই দাতাদের

পানিবন্দী হাওরের মানুষ। তাও প্রায় মাসখানিক ধরে। মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে সপ্তাহ দুই হলো। খাবারের জন্য হাহাকার করছে হাওরবাসী। অসময়ে পানি এসে ডুবিয়েছে হাজার হাজার কৃষকের ধানের ক্ষেত। হাওরের আরেক সম্পদ মাছে ও মড়ক।

Advertisement

হাওরের বিপর্যয় নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি বিদেশি গণমাধ্যমগুলোও ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকার এবং স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাধ্যের মধ্যে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। হাত বাড়িয়েছে ব্যক্তি উদ্যোগও। এত দুঃখ, এত কান্না, তবুও সাড়া মেলেনি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর।

হাওর দুর্যোগের ১ মাস পার হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত দাতা সংস্থাগুলোর কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সচেতন মহলের পাশাপাশি দেশি সংস্থাগুলোও। বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারার সঙ্গে। গওহার নঈম ওয়ারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, হাওর প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১ মাস হলো। হাওরের চিত্র কত ভয়াবহ, তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ওঠে এসেছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

Advertisement

বাংলাদেশের ব্যাপারে দাতা সংস্থাগুলো উদাসীন উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তারা এখনও হাওরে যায়নি। কবে যাবে সেখানে, কবে ফান্ডের জন্য আবেদন করবে, আর কবেই বা হাওরের মানুষের চুলায় আগুন জ্বলবে।

তিনি আরও বলেন, দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দারিদ্রতা নিয়ে কথা বলেন। এখন তারা কই? তাদের কথার মূল্য কোথায়? তারা মানুষের পাশে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিক।

দাতা সংস্থাগুলোর কেন এমন আচরণ, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাতা সংস্থাগুলো এখন জাতিসংঘের ইউএনডিপির কব্জায়। ইউএনডিপি যা চাইছে, তাই করছে।

এএসএস/এমআরএম/ওআর/পিআর

Advertisement