নীলফামারীর ডিমলায় সরকারী বেতনে সংসার না চলায় কিন্ডার গার্ডেন ও কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন প্রধান শিক্ষক। আর এ প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন জটুয়াখাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিত্যানন্দ রায়। তিনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপশি দিলরুবা মোখলেছুর কিন্ডার গার্ডেনে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি করেছেন। নিত্যানন্দ রায় কিন্ডার গার্ডেনে সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্লাশ নেয়। তারপর তিনি জটুয়াখাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। বিকাল ৪টায় বিদ্যালয় ছুটি হলে প্রধান শিক্ষক ক্লাশে বসে জমজমাট কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১২টার পড়ে আসায় বিদ্যালয়ের ৪১৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে উপস্থিত থাকেন ২৮০-৩০০জন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ১২টায় বিদ্যালয় ছুটি দিয়েছে। শ্রেণী কক্ষগুলো শিক্ষার্থী শূন্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক একটু আগে এসে বিদ্যালয় ছুটি দিতে বলেছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নিত্যানন্দ রায় জানান, সরকারীভাবে তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে তার সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে তিনি দিলরুবা মোখলেছুর কিন্ডার গার্ডেনের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরির পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ায়। বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ছুটি প্রসঙ্গে বলেন, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। খাতা দেখার জন্য এ ছুটি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি বিধিগতভাবে সঠিক হয়েছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি কোন উত্তর প্রদান করেনি।এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোজাম্মেল হক সরকার জানায়, প্রধান শিক্ষক কোচিং ব্যবসাসহ পার্শ্ববর্তী কিন্ডার গার্ডেনে চাকুরি করার অভিযোগ পেয়েছি। ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিস্কুট বিতরণের পর ছুটি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।জাহেদুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি
Advertisement