হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলে মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এসব বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অবহেলা থাকলে তা ছাড় দেয়া হবে না।
Advertisement
অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রোববার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। রাজনীতি করি দেশের মানুষের জন্য। একটাই লক্ষ্য মানুষ যাতে না খেয়ে মারা না যায়। আমার বাবা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। যাদের ঘর-বাড়ি নেই আমরা তাদের ঘর করে দেব।
Advertisement
কৃষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না, আমরা আপনাদের পাশে আছি। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছি।
তিনি আরও বলেন, হাওর এলাকায় এক ফসলের ওপর নির্ভর করলে হবে না। মাছ, ডাল, সরিষা, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন যাতে বাড়ে সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের বাঁচতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেজন্য নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। হাওরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য হাওর উন্নয়ন বোর্ড করে দিয়েছি। কারণ আমিও হাওর অঞ্চলের মানুষ।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি শাল্লা উপজেলার শাহেদ আলী বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে। সেখানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় হাওরের ফসলহারা কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে ২০ জন কৃষকের হাতে চলতি ও অগ্রিম হিসেবে মে মাসের ত্রাণ সামগ্রি (দুই মাসে ৬০ কেজি চাল ও এক হাজার টাকা) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএআর/আরআইপি