ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চল পরিদর্শনে রোববার সুনামগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টায় গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এর আগে ১৯৯৭ সালে জেলার জামালগঞ্জ এবং ২০০১ সালে শাল্লা উপজেলায় জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর তাহিরপুরে আয়োজিত এক কৃষক জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে ফসলহারা কৃষকদের মাঝে। এখন তারা তাকিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে লো-ফ্লাইংয়ে অকাল বন্যায় ভেসে যাওয়া সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় শাল্লা উপজেলা সদরে শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি ফসলহারা কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে স্থল ও জলপথে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাগো নিউজকে পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ১১শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ ও ১৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। হেলিকপ্টারে লো-ফ্লাইংয়ে দুর্গত হাওর পরিদর্শন শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। সার্কিট হাউজে রাতযাপন শেষে পরদিন আবারও হাওর পরিদর্শন শেষে বঙ্গভবনে ফেরেন তিনি।অসময়ের বন্যায় গত ২৯ মার্চ প্রথম সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শয়তানখালি হাওরের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়। একে একে জেলার ছোট-বড় ১৪২টি হাওরের ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে জেলার দুই লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ টি কৃষক পরিবার। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর পক্ষ থেকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে জেলায় শতভাগ ফসলহানির ঘটনা ঘটলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দাবি করছে, অকায় বন্যায় হাওরাঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ ৯০ শতাংশ। বোরো ফসল ডুবে যাওয়ার পর সেখানে শুরু হয় মাছ, হাঁস ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর মড়ক। এমএমএ/
Advertisement