লাইফস্টাইল

ওজন কমানোর কৌশল

বাড়তি ওজন নিয়ে মুশকিলে পড়েন অনেকেই। একটু কিছু খেলেন কি খেলেন না, অমনি ওজন হু হু করে বাড়তে থাকে। আর এই বাড়তি ওজন কমানোর জন্য কতরকম প্রচেষ্টা! তবে খাবার খাওয়ার সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করেই আপনি কমাতে পারেন বাড়তি ওজন। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

Advertisement

প্রতিবেলায় খাবার আগে ২ গ্লাস পানি খেলে আপনার পেট বেশ অনেকটাই ভরে যাবে, ভয়াবহ আকারে ক্ষুধা লাগাটা নিবৃত হবে। ফলে আপনার হুড়মুড়িয়ে অনেক কিছু খেয়ে ফেলার ইচ্ছে থাকলে ও আপনি খেতে পারবেন না। আর বোনাস হিসেবে এই পানি খাওয়ার কারণে ইউরিন ইনফেকশন দূর হওয়া থেকে নিয়ে শুরু করে শরীরের সব ফাংশনই ভালো থাকছে।

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির একটি স্তর তৈরি হয়। এর ফলে লিভারের আকৃতির পরিবর্তনসহ লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আপনার ত্বকে খুব দ্রুত বলিরেখা পড়তে শুরু করে। আর তাই বয়স বেশি হবার আগেই বুড়িয়ে যেতে না চাইলে অবশ্যি চিনি খাওয়া ছাড়তেই হবে।

রাতের খাবার রাত ৮ টার আগে সেরে ফেলবেন। এরপর যদি খুব বেশি ক্ষিধে ভাব হয় তাহলে সর্বোচ্চ এক গ্লাস দুধ অথবা ৬-৭ টা কাঠবাদাম/কাজুবাদাম খেতে পারেন।

Advertisement

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা খুব ভালো একটি এক্সারসাইজ যার জন্য কোনো ইকুইপমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। কাজেই যেখানে লিফট আছে, সেখানেও চেষ্টা করুন সিঁড়ি ব্যবহার করতে।

বেকিং গ্রীলিং এর অভ্যাস গড়ে তুলুন। বেকিং হলো রান্না করার খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পদ্ধতি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বেক এবং গ্রীল করে রান্না করার চেষ্টা করুন।

আপনি ২ চা চামচ টক দই, ১টা ছোট্ট কলা/আপেল ৪০০ এম.এল. পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে খান, পরবর্তী ঘণ্টা দুই-তিনেক আপনার পেট ভরা থাকবে, বাড়তি হাবিজাবি খাওয়ার জন্য মন খচখচ করবে না। আপনি যেকোনো একটি ফল বা কয়েক রকম ফল মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

আর মনে রাখবেন, ওজন কিন্তু একদিনে কমে না, ছোট ছোট দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমেই ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Advertisement

ছোট প্লেটে খাবার নিন। তাতে করে ইচ্ছে থাকলেও বেশি খাবার নিতে পারবেন না, খেতেও পারবেন না।

এইচএন/আরআইপি