শেষ ওভারে দরকার ৪ রানের। প্রাইম দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজার করা ওই ওভারের প্রথম বলেই আসল ২ রান।
Advertisement
কলাবাগান ড্রেসিংরুমে জয়ের আগাম উচ্ছ্বাস। পরের পাঁচ বল থেকে কি দু’রান হবে না- এমন ভেবে দ্বিতীয় ডেলিভারির অপেক্ষা। কে জানত সেটাই হবে ইনিংসের শেষ বল। কভারে ঠেলে অহেতুক দৌড় দিয়ে রান আউট শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ হাসান। ১ রানের নাটকীয় জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত প্রাইম দোলেশ্বর শিবির।
তরুন অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা আর অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের মাপা বোলিংয়ে ২০২ রানে থামে প্রাইম দোলেশ্বর। টপ স্কোরার নাফীস ইকবাল। এখন পর্যন্ত লিগে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও গড়পড়তা প্রায় সব ম্যাচে তিরিশ মধ্য তিরিশে পা রাখা শাহরিয়ার নাফীস তিন নম্বরে নেমে ৩৯ করেন ৯৩ বল খেলে।
এছাড়া মার্শাল আইয়ুব (৪০ বলে ৩১) আর তরুণ কিপার জাকির ৪৪ বলে ৩৮ রানের দুই ইনিংস খেললে ২০০-র ঘরে পৌঁছায় প্রাইম দোলেশ্বর। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের তরুণ অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা আবারও বল হাতে নিজেকে মেলে ধরেন। ১০ ওভারের স্পেলে ২৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এ অফস্পিনার। অধিনায়ক আশরাফুলের স্পিন জালে জমা পড়ে তিন উইকেট।
Advertisement
২০৩ রানের ছোট লক্ষ্যের পিছুৃ ধেয়ে ৬২ রানের উদ্বাধনী জুটি। এর চেয়ে ভাল শুরু আর কি-ই হতে পারে? অতি বড় প্রাইম দোলেশ্বর ভক্তও ধরে নিয়েছিলেন ম্যাচ কলাবাগান কেসির হাতে। ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ও তা-ই ছিল। ২৪.৪ ওভারে অভিজ্ঞ ও কুশলী তুষার ইমরান যখন ১৭ রানে সাজঘরের পথে, তখন জয় থেকে মাত্র ১০১ রান পিছিয়ে কলাবাগান।
এরপরও খেলা আশরাফুল বাহিনীর হাতেই ছিল। কারণ ওপেনার তাসামুল হক একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি রানের চাকাও রেখেছিলেন সচল। কিন্তু ৪১ নম্বর ওভারের প্রথম বলে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বলে তাসামুল (১২৬ বলে ৮৯) ক্যাচ আউটের পর থেকে ভোজবাজির মতো বদলে যায় দৃশ্যপট।
অফস্পিনার শরিফুল্লাহ এক স্পেলে তিন উইকেট দখল করে ম্যাচজ ঘুরিয়ে হন ম্যাচসেরা। এমন লো স্কোরিং ম্যাচে একটা ৩০-৪০ রানের ইনিংস খেলতে পারলেই হয়তো দল জেতানো যেত। কিন্তু অধিনায়ক আশরাফুল মাত্র ৭ রানে ফিরলে কপাল পোড়ে কলাকাগানের।
আরআই/এনইউ/জেআইএম
Advertisement