নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়ন হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তাই নতুন ভ্যাট আইনে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তা আদায়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে আগামী (২০১৭-১৮) অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আবুল কাসেম খান একথা বলেন।
আবুল কাসেম খান বলেন, আমরা নতুন ভ্যাট আইন চাই। এ আইনে ভালো কিছু বিষয় রয়েছে। তবে ভ্যাটের হার যেন ৭ শতাংশ হয়। এজন্য অর্থমন্ত্রী, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করছি। দাবি বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৭ শতাংশ ভ্যাট চাই কারণ ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকরে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। কারণ সর্বক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। যেমন- রড কিংবা ভোজ্যতেলের ওপর এখন ভ্যাট নেই। নতুন আইনে ভ্যাট কার্যকর হবে। আর দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে চাহিদা কমে যেতে পারে। এর প্রভাবে উৎপাদকারী তার উৎপাদন কমিয়ে দেবে। এতে অর্থনীতির পরিসর অপেক্ষাকৃত ছোট হতে পারে।
Advertisement
নতুন আইন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আবুল কাসেম বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে। কারণ আইনটা ভালো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহারে ব্যবসায়ীরা হয়রানি হতে পারে। ব্যবসায়ীরা যদি হয়রানির স্বীকার হয় তার দূর করতে কোনো আইন এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৩০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) খাত। বেসরকারি খাতে ৭৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ খাতসংক্রান্ত। দেশের কর্মসংস্থানের ৭৫ শতাংশ হয় এমএসএমই খাতের মাধ্যমে। শিল্প খাতে চাকরির ৮০ শতাংশই এমএসএমই ভিত্তিক। অথচ নতুন ভ্যাট আইনে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে এসএমই ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এসআই/জেএইচ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement