প্রথম তিন ম্যাচ জিতলেও চতুর্থ রাউন্ডে গিয়ে জয়রথ থেমেছে আবাহনীর। পঞ্চম রাউন্ডেও হারের বৃত্তে আটকা চ্যাম্পিয়নরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর সানজামুল ইসলামকে নিয়ে আগের পর্বে শেখ জামালের কাছে ৬ উইকেটে হারা ধানমন্ডির এ জনপ্রিয় দল এবার হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে।
Advertisement
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম আর পেসার তাসকিন আহমেদ আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দেশের বাইরে। অন্যদিকে গাজী গ্রুপের নিয়মিত অধিনায়ক ও ফর্মে থাকা নাসির হোসেন এবং প্রধান স্ট্রাইক বোলার শফিউল ইসলাম ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফরে।
সংখ্যায় আবাহনীর দিগুণ তথা চারজন ক্রিকেটার না থাকলেও ভাবা হচ্ছিল গাজী গ্রুপ বুঝি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কিন্তু শনিবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সে ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন পারভেজ রাসুল। ভারতের জম্মু কাশ্মিরের এ অলরাউন্ডার ব্যাট ও বলে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে গাজী গ্রুপের সাফল্যের মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
Advertisement
তার সাথে গাজী গ্রুপের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল এনামুল হক বিজয় ও আলাউদ্দীন বাবুরও। মূলত এনামুল হক বিজয় আর পারভেজ রাসুলের চওড়া ব্যাট এবং পেসার আলাউদ্দীন বাবু ও আবু হায়দার রনির কার্যকর বোলিংয়ে শেষ হাসি হাসে গাজী গ্রুপ।
ওপেনার এনামুল হক বিজয় আর পারভেজ রাসুলের ব্যাটের দৃঢ়তায় প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮২ রানের বড় পুঁজি গড়ে গাজী গ্রুপ। এনামুল হক বিজয় ১০৯ বলে ৯৭ আর পারভেজ রাসুল ৮৭ বলে ৯১ রানের ইনিংস দুটির সাথে অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীর ৩৪ বলে ৪১ রানের মাঝারী স্কোর যোগ হলে ২৮০-এর ঘরে পৌঁছায় গাজী।
২৮৩ রানের বড় লক্ষের পিছু ধেয়ে যা দরকার ছিল প্রথম তিন-চার ব্যাটসম্যানের যে কারো একজনের লম্বা ইনিংস। কিন্তু আবাহনী তা পায়নি। ওপেনার লিটন দাসের বল সমান ৪২ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কেউ কিছুই করতে পারেননি।
ছয় নম্বরে নামা তরুণ আফিফ হোসেন একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি রানের চাকা সচল রাখেন। কিন্তু অপর দিকে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে না পারায় আফিসের ৮০ বলে খেলা ৭৬ রানের ইনিংসটি ভেস্তে যায়। ২৫৭-তে গিয়ে আটকে পড়ে আবাহনী।
Advertisement
এআরবি/এনইউ/জেআইএম