খেলাধুলা

সব ট্রফিতে চোখ সাইফ স্পোর্টিংয়ের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে সদ্য উত্তীর্ণ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড তাদের অভিষেক আসরেই মৌসুমের সবক’টি ট্রফি জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। শনিবার দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে এসে এ উচ্চাশা প্রকাশ করেছেন ক্লাবটির অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। তবে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এ ড্যানিশ-এর প্রধান লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।

Advertisement

ফুটবলের দলবদলের সেই জমজমাট সময়টাই শনিবার ফিরিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। অতীতে মোহামেডান-আবাহনীসহ আরো কয়েকটি বড় ক্লাবের ফুটবলের দলবদলে থাকতো সরব উপস্থিতি। হাজার হাজার সমর্থক, সঙ্গে ব্যান্ডপার্টি। হাতি-ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে ফুটবলারদের দলবদলে উপস্থিত করানোটা ছিল নিয়মিত ঘটনা। বাংলাদেশের ফুটবল পেশাদার যুগে পা রাখার পর সেই উৎসবমুখর দৃশ্য আস্তে আস্তে স্তিমিত। ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা খেলোয়াড়দের তালিকা নিয়ে এসে বাফুফেতে জমা দিয়েই সেরে ফেলেন দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা। আবার কোনো কোনো ক্লাব খেলোয়াড়দের নিয়ে আসলেও আগের সেই উৎসবমুখর পরিবেশটা চোখে পড়ে না।

নতুন মৌসুমের দলবদল কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল। বৃহস্পতিবার ২৭তম দিনে এসে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। শনিবার ২৯তম দিনে দুপুরে খেলোয়াড় তালিকা জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর নতুন ম্যানেজার আরমান আজিজ। এর পর মুক্তিযোদ্ধার নতুন কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার খেলোয়াড়দের নিয়ে বাফুফে ভবনে এসে তালিকা জমা দিয়েছেন। তবে দিনের দলবদলের পরিবেশটা জমিয়ে দিয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

গত মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ রানার্সআপ ক্লাবটি বিকেলে খেলোয়াড়দের ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে নিয়ে আসে বাফুফে ভবনে। সঙ্গে ছিল ব্যান্ডপার্টি। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন চৌধুরী তাদের খেলোয়াড় তালিকা প্রফেশনাল লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের হাতে তুলে দেন।

Advertisement

‘আমরা যখন দল গড়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নাম লেখাই তখনই ভালো ফুটবল উপহার দেয়ার পাশপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছি। প্রিমিয়ারে দল গড়ার জন্য অনেক পর্যালোচনা করেছি। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর খেলার ভিডিও দেখেছি। তার পর কোন কোন খেলোয়াড় নেবো সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার ধারণা এ মৌসুমে আমাদের দলটি সবার চেয়ে ব্যালান্সড’-বলেছেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান। দুই ক্লাবের মধ্যে এই ভ্রাতিত্ববোধটা মাঠে থাকবে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছিল। তবে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে দুই ক্লাবের মধ্যে সম্পর্কটা যাই থাক, মাঠে আমরা পরস্পরের চরম শত্রু। লিগে আমরা চট্টগ্রাম আবাহনীকেই দেখছি প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে।’

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে যারা নাম লেখালেন :গোলরক্ষক : সাদ্দাম হোসেন, আনিসুর রহমান জিকো, পাপ্পু হোসেন, সাইফুল ইসলাম।

ডিফেন্ডার: রিয়াদুল হোসেন রাফি, জহুরুল ইসলাম, সৈকত রাসেল, ইমরান হাসান, শাকিল আহমেদ, তপু বর্মন, আরিফুল ইসলাম, রহমত মিয়া।

Advertisement

মিডফিল্ডার: সাজ্জাদ হোসেন, কবিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ স্বাধীন, শাহরিয়ার লিঙ্কন, আল আমিন হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, জামাল ভূইয়া, আন্দ্রেস ডেইনার (কলোম্বিয়ান)।

ফরোয়ার্ড: রহিম উদ্দিন, মতিন মিয়া, সাজিদুর রহমান, জুয়েল রানা, হেম্বার আর্লে বেলেনসিয়া (কলোম্বিয়া), আলভি ফকৌও ফোপা (ক্যামেরুন/যুক্তরাষ্ট্র)।

আরআই/এনইউ/আরআইপি