আন্তর্জাতিক

মালবাহী বিমানে এসে বিজনেস ক্লাসে যাচ্ছেন সেই মোটা নারী

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী মিসরের ইমান আহমেদের ওজন ছিল ৫০৪ কেজি। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চলাফেরা করতে পারতেন না ঠিকভাবে। চিকিৎসার জন্য মালবাহী বিমানে ভারতের মুম্বাইয়ে আনা হয়েছিল তাকে।

Advertisement

সেই ইমানের ওজন এখন ১৭৬.৬ কেজি। অন্তত তেমনই বলছেন বাণিজ্যনগরীর সাইফি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, মুম্বাইয়ে ইমানের চিকিৎসা শেষ। এবার তিনি যাবেন আবুধাবি। সেখানকার বুর্জিল হাসপাতালে পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা চলবে।

তবে এবার আর মালবাহী বিমানে নয়; যাত্রীবাহী বিমানের বিজনেস ক্লাসের আসনে বসেই ইমান মুম্বাই ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন সাইফি হাসপাতালের বেরিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের সেকশন চিফ অপর্ণা ভাস্কর। আবুধাবিতে ফিজিওথেরাপি ও স্নায়ুর কিছু চিকিৎসা চলবে ইমানের।

কয়েকদিন আগে ইমানের বোন সাইমা সেলিম দাবি করেন, মুম্বাইয়ে এসে ইমানের ওজন কমেনি। তাই তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে না। ইমানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বেরিয়াট্রিক সার্জন মুফাজ্জল লকড়াওয়ালার দিকে আঙুল তুলে সাইমা বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকদের সব দাবি মিথ্যা।’

Advertisement

অভিযোগ উড়িয়ে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ইমানের ওজন কমেছে ৩০০ কেজিরও বেশি। খিদে কমাতে পাকস্থলীও ছোট করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা বলছেন, সাইফি হাসপাতালে আরও কিছুদিন থাকার সুযোগ পেতেই এমন অভিযোগ করছেন সাইমা।

সাইমার অনুরোধে গত বুধবার ইমানকে দেখতে মুম্বাই যায় আবুধাবি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল। সাইফি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেই যোগাযোগটা করিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক লকড়াওয়ালাই।

বেরিয়াট্রিক সার্জারির সেকশন চিফ বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ইমানের অবস্থা স্থিতিশীল। আমাদের চিকিৎসকরা দারুণ কাজ করেছেন। তবে অন্যান্য জটিলতা থাকায় এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না ইমান।’

কেএ/এসআইএস/জেআইএম

Advertisement