রাজনীতি

‘হাওরে দুর্গতদের অসহায়ত্ব নিয়ে তামাশা করছে সরকার’

হাওরবাসীদের সাহায্য-সহায়তা করা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের মুখে শুধু বড় বড় কথা। শাসকগোষ্ঠী হাওর এলাকার মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে তামাশা করে যাচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

Advertisement

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পানির তলে ডুবে গেছে লাখ লাখ হেক্টর ক্ষেতের ফসল। খাবার অভাবে মানুষ আহাজারী করছে। কাজের সন্ধানে ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ ভিটে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এক ভীষণ দুর্ভিক্ষের আগ্রাসন সেই এলাকায় ধেয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, হাওর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে। ফরে পছন্দের আওয়ামী লোকদের নিয়ে তালিকা করা হচ্ছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ সাধারণ কৃষক সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।

Advertisement

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন মানেই জনগণকে কবরে পাঠিয়ে নিজেদের লুটপাটকে নিশ্চিত করা। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন-বিএনপি দুর্গত এলাকায় ফটোসেশন করতে গেছে। তার বক্তব্যটি সম্পূর্ণভাবে ভুল। হাওরে প্রথম আমাদের দলের মহাসচিব গেছেন। গত পরশু দিন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকারি বাধা না থাকলে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলগুলো ত্রাণ দিতে পারতো। এমনকি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, নাগরিক সংগঠনগুলোও সরকারে অসহযোগিতার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে পারছে না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পাহাড়ী পানির ঢলে ভয়াবহ বিপর্যস্ত হাওর এলাকার মানুষ এখন বিপন্ন অসহায় অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছে। সহায়-সম্বল হারিয়ে প্রায় নি:স্ব হতে বসেছে সাড়ে আট লাখের অধিক পরিবার, অথচ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবারকে সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে-হাওর অঞ্চলের প্রায় কোটির কাছাকাছি মানুষ খাদ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে আর পঞ্চাশ লাখ মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। অথচ দুর্গত এলাকাগুলোতে কোন সরকারি ত্রাণ নেই।

Advertisement

এমএম/এআরএস/জেআইএম