আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধসহ সাইবার ক্রাইম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন সময় তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর এতে সাড়া দিয়ে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের পদক্ষেপও নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছরে ব্যবহারকারীর নানা তথ্য চেয়ে সরকারের আবেদন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ফেসবুকও সাড়া দেয়ার হারও। সম্প্রতি ফেসবুক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফেসবুক মোট আটটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।ফেসবুক প্রকাশিত গ্লোবাল গর্ভনমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে ৪৯টি অনুরোধ পাঠায় সরকার। এর মধ্যে ৫৭টি ছিল ব্যবহারকারীর তথ্য সংক্রান্ত। ফেসবুকের সাড়া দেয়ার হার ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল ২৪টি। আর ৩২টি আবেদন করা হয় ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের সাড়া দেয়ার হার ছিল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে ২৫টি অনুরোধ জানানো হয়। যার সব ক’টি ছিল ব্যবহারকারীর তথ্যসংক্রান্ত। এই অনুরোধের ৪০ শতাংশ সাড়া মিলেছে।প্রতি ছয় মাস পরপর ফেসবুক এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করে। যাতে সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের তথ্য চেয়ে আবেদন করে তা উল্লেখ থাকে।তবে কোন কোন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের জন্য তথ্য চাওয়া হয়-তা উল্লেখ করা হয় না ওই প্রতিবেদনে।এদিকে গত বছরের প্রথম ছয়মাসে ফেসবুকের রির্পোট গত জুনে প্রকাশ করা হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ১০টি অনুরোধ করে সরকার। যার নয়টিই ছিল ব্যবহারকারীর তথ্য সংক্রান্ত। এই অনুরোধে ২০ শতাংশ সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। এর মধ্যে একটি ছিল জরুরি আবেদন। এতে ১০০ শতাংশ সাড়া মিলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে করা আবেদনের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ২০১৩ সালে। ওই বছরের প্রথম ছয় মাসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরকার ১২ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে অনুরোধ জানায়। কিন্তু ফেসবুক সেই অনুরোধে একটিরও সাড়া দেয়নি।ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে সারা বিশ্বে সরকারিভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়ার হার আগের ছয় মাসের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ৫৯ হাজার ২২৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চায়; পরের ছয় মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৪ হাজার ২৭৯টি। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত আগের মতো এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।এএস/এমএমএ
Advertisement