আন্তর্জাতিক

নারদ স্টিং কেলেঙ্কারি: ১২ নেতার বিরুদ্ধে মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

নারদ স্টিং অপারেশনে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের ১২ নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। এ ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে ফের অস্বস্তিতে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।শুক্রবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমকে ইডি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ওই মামলার তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুব শিগগির সমন পাঠাবেন।এর আগে ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই রাজ্যসভার সদস্য মুকুল রায়, লোকসভার সদস্য সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দারসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি এবং দুর্নীতি দমন আইনের কয়েকটি ধারায় মামলা করেছিল।এবার ইডি ১২ জন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা শুরু  করেছে। পশ্চিমবঙ্গে গত ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমে প্রচারিত নারদ স্টিং ভিডিওতে অভিযুক্ত তৃণমূলের সিনিয়র নেতাদের টাকা নিতে দেখা যায়। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।ভিডিও চিত্রে ধরা পড়া ওই নেতাদের নেয়া টাকা কোথায় গেল, কোন কাজে তা লাগানো হল এবং কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তা জমা পড়েছে ইডি কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া অভিযুক্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত ৩/৪ বছরের আর্থিক লেনদেনের সমস্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।গত ১৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত সম্পূর্ণ করে সিবিআইকে হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়।

Advertisement

এ ব্যাপারে ২০ মার্চ রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়ার আবেদন জানালে তা খারিজ হয়ে যায়।সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ নারদ কেলেঙ্কারিতে ক্যামেরার সামনে তৃণমূল নেতাদের ঘুষ নিতে দেখা গেছে অভিযোগ করে ওই ঘটনায় তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

বিজেপি ওই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃনমূলকে চেপে ধরে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।অবশ্য ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তকে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।এমএমএ/

Advertisement