আন্তর্জাতিক

আবারও সেনা শাসনের পথে পাকিস্তান

পাকিস্তানের রাজনীতি যেন ঘুরে-ফিরে সেনাবাহিনীর হাতেই জিম্মি হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) ও পিএটি’র (পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক) সরকারবিরোধী আন্দোলনে সেনাবাহিনীর মধ্যস্ততার ঘোষণা এবং সরকারের পক্ষ থেকেও এর সমর্থন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পদত্যাগ ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে পিটিআই ও পিএটি’র যুগপৎ আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটে মধ্যস্ততার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। আইএসপিআর’র (ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস) পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এ ঘোষণার পরপরই দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর এ বক্তব্য সরকারের মনোভাবেরই প্রতিধ্বনি। আইএসপিআর’র ওই বিবৃতি প্রকাশের আগে তিনি নিজে সেটা পড়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফও তা পড়ে দেখেছেন।ডননিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে পিটিআই ও পিএটি’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল রাহেল শরীফ।এরপর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিটিআই ও পিএটি নেতাদের দাবি অনুসারেই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে মধ্যস্ততা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। তবে দল দু’টির পক্ষ থেকে সরকারের এ দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে।পিটিআই প্রধান ইমরান খান ও পিএটি প্রধান ডা. তাহিরুল কাদরি উভয়েই বলেছেন, সরকারের এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।ইমরান শুক্রবার জানান, তার দল সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় দেশটিতে সেনাবাহিনীর পূর্বের বিশ্বাসভঙতার কথা তুলে ধরেছে।এদিকে, কাদরিও জানিয়েছেন, তার দল সেনাবাহিনীকে মধ্যস্ততার আহ্বান জানায়নি বরং সরকারই এটা করেছে। সরকারের এই বিবৃতিকে তিনি পুরো জাতির সঙ্গে মিথ্যা বলার শামিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।উভয় নেতার পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নিজেই মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা নওয়াজের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন।এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বিরোধীদের দাবির মুখে লাহোরের মডেল টাউনে আন্দোলনরত পিএটি সমর্থকদের ‍নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে পাকিস্তান সরকার।

Advertisement