শিক্ষা

নতুনরূপে প্রণীত হচ্ছে নবম-দশম শ্রেণির ১২ পাঠ্যবই

মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২টি পাঠ্যবই সহজীকরণ হচ্ছে। বিনামূল্যের এসব বই আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। শিক্ষারমান বৃদ্ধি ও যুগোপযোগী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।

এর আগে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে গঠিত কমিটির একটি বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, শহীদজায়া অধ্যক্ষ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ঢাকা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ১২টি বিষয়ের পরিমার্জন ও সহজীকরণ করছি। এগুলো হচ্ছে- বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, গণিত, উচ্চতর গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও অর্থনীতি।

তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় নানা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ভিত্তিক পাঠ্যবই কমানোর ভাবনা রয়েছে।

‘সুন্দরভাবে পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ণে শিক্ষকদের আমরা নমুনা উত্তরপত্র দিয়েছি। যাতে একটি নির্ধারিত মাপকাঠিতে উত্তরপত্র মূলায়ণ করা হয়। এ জন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২২দিন সময় কমিয়ে আনা হয়েছে,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকে একপ্রশ্নের জবাবে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, পরিবর্তন বিষয়টি চলমান। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবসময় পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে। তাই পাঠ্যবই পরিবর্তনে যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Advertisement

অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ভুল ও সহজীকরণে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সংবিধান পরিপন্থী কিছু থাকলে তা পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হবে।

অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে আমরা কাজ করছি। রাতারাতি বা বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে না। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ।

এমএইচএম/এমএমএ