ওরা এখন সুস্থ, ডানা মেলে ফিরেছে আপন নীড়ে। যখন খাঁচা থেকে বের হয়ে উড়াল দিল তখন আমার খুব ভালো লেগেছে। এ এক দারুণ অনুভূতি, দারুণ মুহূর্ত। গত ৬ এপ্রিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুশলীবাসা গ্রামের ছাগলাপাড়ার পাখিদের অভয়াশ্রমে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে আহত পাখিদের সেবা শুশ্রুষা শেষে খাঁচা থেকে পাখিগুলো যখন মুক্ত করা হলো তখন এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। তিনি জানান, ৬ এপ্রিল কাল বৈশাখী ঝড় আর শিলা বৃষ্টির তাণ্ডবে পাখিদের এই অভয়ারণ্যে প্রায় ৩০ হাজার পাখির করুণ মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছিল ঠিকই, তবে আহত পাখিগুলো যখন সুস্থ অবস্থায় নিজ হাতে ছেড়ে দিলাম তখন আমার যে কি আনন্দ লেগেছে তা বলে বোঝাতে পারবনা। শুধু আমিই নয়, ছাগলাপাড়ার সব বয়সী মানুষেরও একই রকম অনুভূতি, অভিব্যক্তি। অবশ্য আহত পাখিগুলোকে যারা সুস্থ করে তুললেন সেই প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের কৃতিত্ব দিতে মোটেও ভুল করেননি তিনি। এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনসহ জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেদিনের কালবৈশাখী ঝড় আর শীলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০ হাজার পাখি মারা যায়, আহত হয় অন্তত ১০ হাজার পাখি। আহত পাখির অধিকাংশ বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কিছু পাখি জীবিত উদ্ধার করে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে করে নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক নিজে আহত পাখিগুলোকে উদ্ধার করেন। জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রখর রোদ, আর শত ব্যস্ততা উপেক্ষা করে আবারও ছুটে যান কুশলীবাসা গ্রামের সেই গাছালপাড়ার পাখিদের সেই অভয়ারণ্যে।নিজ হাতে খাঁচা ভর্তি পাখি মুক্ত করেন। ২৪ দিন চিকিৎসা শেষে পাখিগুলো ফিরে পেল তাদের সেই অভয়ারণ্য। আল-মামুন সাগর/এমএএস/পিআর
Advertisement