নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেছে আরও দু’দিন আগে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এখনও দল ঘোষণাই করেনি ভারত। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আইসিসির দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে কি না সেটাই পড়ে গিয়েছে ঘোর সংশয়ে।
Advertisement
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করার নির্ধারিত সময় ছিল ২৫ এপ্রিল। এই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও বিসিসিআই নির্বিকার। যদিও একদিন আগে তারা সাফাই গেয়ে বলেছে, অনিবার্য কারণ বশত বিলম্ব হচ্ছে। খুব শিগগিরই দল ঘোষণা করা হবে।
কিন্তু, সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নতুন যে ফাইনান্সিয়াল মডেল তৈরি করা হয়েছে সেটা পাশ হয়েছে ৯-১ ভোটের ব্যবধানে। ভারতই একমাত্র দেশ যারা এর বিরোধিতা করেছিল। নতুন মডেল অনুযায়ী ভারত রাজস্ব পাবে ২৯০ মিলিয়ন ডলার করে। এটা বন্টন হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমতার ভিত্তিতে।
ভারত চেয়েছিল ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। যা ছিল তথাকথিত তিন মোড়লের প্রস্তাবনা অনুযায়ী। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নিজেরা যাতে জয়লাভ করেন, তার জন্য তিন মোড়লের অন্য দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল, নিজেদের পক্ষে ভোট আদায় করার জন্য; কিন্তু ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত কেউ আর ভারতের পক্ষে থাকেনি।
Advertisement
শুধু তাই নয়, আইসিসি সংবিধান সংশোধনের যে প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাতে কিছু পরিবর্তন সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৮-২ ভোটের ব্যবধানে। এখানেও প্রধান বিরোধিতাকারী দেশ ভারত। শ্রীলঙ্কাও তাদের কিছু দাবি না মানায় বিরোধিতা করেছিল; কিন্তু বিরুদ্ধে থাকা ২ ভোট ধোপে টেকেনি আর।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ইতিমধ্যেই বাকি সাতটি দেশ স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে; কিন্তু ভারত সময়সীমা ফেল করায় আইসিসি কর্তৃক যে কোনো সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আইসিসির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ভারত নিজেদের প্রত্যাহারও করে নিতে পারে। এ কারণেই হয়তো তারা স্কোয়াড ঘোষণা করেনি।
সংসাব সংস্থা এএফফিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা এসব বিষয়ে বলেন, ‘এখনও কিছু বলা অসম্ভব। কারণ, টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনও এক মাসের বেশি সময় বাকি। তবে কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। অপেক্ষা করুণ এবং দেখতে থাকুন।’
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement