নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ায় রকিবুল হোসেনের উপর আস্থা রেখেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সে আস্থার ষোলআনা মিটিয়ে দিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটে ভর করেই খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি।
Advertisement
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয় খেলাঘর। জবাবে রকিবুলের ব্যাটে ভর করে ৪৪.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন রকিবুল হাসান।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে খেলাঘর। শুরুতেই সালাহউদ্দিনকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে রবিউল ইসলাম রবি ও অধিনায়ক নাফিস ইকবালের ৫২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। অধিনায়কের বিদায়ের পর অমিত মজুমদারকে নিয়ে ৫১ রানের আরও একটি ভালো জুটি গড়েন রবিউল।
দলীয় ১৪৭ রানে অমিত মজুমদার আউট হওয়ার পর উইকেট হারানোর মিছিলে নামে খেলাঘর। ফলে আর ৪২ রান যোগ করতেই শেষ ৭টি উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন রবিউল। এছাড়া ৫৩ রান করেন অমিত।
Advertisement
মোহামেডানের পক্ষে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, আজিম ও তাইজুল ইসলাম।
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানেই সৈকত আলীকে হারায় মোহামেডান। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন অভিনব মুকুন্দ। তবে দলীয় ৮৭ রানে রনির বিদায়ের পর ৭ রান যোগ করতেই আরও ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে মোহামেডান।
এরপর নাজমুল মিলনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রকিবুল। ৩২ রানের জুটি গড়ার পর নাজমুলকেও হারায় তারা। তবে সপ্তম উইকেটে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক রকিবুল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ হার না মানা ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন রকিবুল। ৯২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া মুকুন্দ ৩৫ রান করেন। খেলাঘরের পক্ষে ২০ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন রবিউল ইসলাম রবি।
Advertisement
আরটি/আইএইচএস/জেআইএম