তুরস্কের ৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন গুলেন।
এর আগে, গুলেন সমর্থকদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোককে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Advertisement
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলেইমান সোয়েলু জানান, গুলেন নেটওয়ার্কের সদস্যদের চিহ্নিত করে আমাদের পুলিশ বাহিনী থেকে ছেঁটে ফেলা হবে; যাদের ‘সিক্রেট ইমাম’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ ‘সিক্রেট ইমাম’কে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকার কথাও জানান তিনি।
১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর সামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ বিশ হাজার জনকে চাকরিচ্যুত কিংবা সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। এদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হয় অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে।
সপ্তাহখানেক আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিতর্কিত গণভোটে জয়ী হন। এরদোয়ান বিরোধীরা এ বিজয়কে ভীতি হিসেবে দেখায় তুরস্ক কার্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
Advertisement
গণভোটের দুই দিন পর, তুরস্কের সংসদ জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে।
যাদের কারণে অভ্যুত্থান হয়েছে তাদের ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করে মুছে ফেলার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তারপর থেকেই দেশজুড়ে ধরপাকড়, চাকরিচ্যুতির অভিযান চলছে।
কেএ/এনএফ/পিআর