খেলাধুলা

আইসিসিতে ভোটে পরাজিত ভারত

সুনামি ঘটে গিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি)। সংবিধান সংশোধন ও নতুন অর্থনৈতিক মডেল নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। তিন মোড়লের তত্ত্ব বাতিল করে সমতার ভিত্তিতে রাজস্ব বন্টনের বিষয়ে যে নতুন অর্থনৈতিক মডেল উত্থাপন করা হয়েছিল, তা পাশ হওয়ার দিন ছিল আজ।

Advertisement

অবশেষে দুবাইতে আইসিসির হেড কোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সভায় নতুন ফাইনান্সিয়াল মডেল পাশ হয়েছে ৯-১ ভোটের ব্যবধানে। ভারতই শুধু একমাত্র দেশ, যারা এই নতুন ফাইনান্সিয়াল মডেলের বিরোধিতা করেছিল। তাদের শত ওজর-আপত্তির মুখেও শেষ পর্যন্ত নতুন প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলো।

শুধু তাই, সংবিধান সংশোধন করার যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল সেটাও আজ পাশ হয়ে গেছে ৮-২ ভোটের ব্যবধানে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা এই সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধীতা করে ভোট দিয়েছিল; কিন্তু তাদের এই বিরোধীতা আর ধোপে টিকলো না।

আইসিসির নতুন ফাইনান্সিয়াল মডেল অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য দেশ সমতার ভিত্তিতে রাজস্বের ভাগ পাবে। সেটা হবে ২৯০ মিলিয়ন ডলার করে; কিন্তু ভারত এর বিরোধীতা করে রাজস্ব চেয়েছিল ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। যেটা তিন মোড়লের প্রস্তাবনায় ছিল।

Advertisement

আইসিসি ভারতকে বোঝাতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত ২৯০ মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে আর ১০০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেয়ার প্রস্তাব করেছিল; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত আইসিসির সভায় নতুন মডেল পাশ হওয়াতে সেই অতিরিক্ত ১০০ ডলারও আর পাচ্ছে না ভারত। আইসিসি থেকে তাদেরকে গ্রহণ করতে হবে ২৯০ মিলিয়ন ডলারই।

বিসিসিআইর কোনো সভাপতি না থাকায় আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী। তারা সভায় কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি। আজ সকাল থেকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে নিজেদের পক্ষে টানার জোর চেষ্টা-তদবির চালিয়েছিল তারা; কিন্তু ভোটাভুটিতে গিয়ে দেখা গেলো তাদের সব চেষ্টা বৃথা। বরং, ভোটাভুটিতে হেরে এখন আইসিসির সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে হচ্ছে।

নতুন সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা ছিল, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সদস্যপদ নতুন করে পর্যালোচনা করার। যাতে করে নতুন কাউকে সুযোগ দিয়ে এখান থেকে কাউকে বাদ দেয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা।

কিন্তু আইসিসির এই প্রস্তাবনাটি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে, অধিকাংশ পূর্ণ সদস্যের বিরোধিতার কারণে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং জিম্বাবুয়ে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব আর আলোরই মুখ দেখেনি।

Advertisement

আইএইচএস/