তখনও শুরু হয়নি কলাবাগান-রূপগঞ্জ ম্যাচ। তাই দোলেশ্বর-গাজী গ্রুপের ম্যাচ দেখেই সময় কাটছিল ক্রিকেটারদের। পাশ থেকে আশরাফুল চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ভালো হচ্ছে, দেখে দেখে খেলো, ডাবল সেঞ্চুরিটা করে আসো।’ শুধু আশরফুলই নন, মুশফিকুর রহীম, তুষার ইমরান, মেহরাব জুনিয়র, মুক্তার আলীসহ প্রায় সকল ক্রিকেটারই। তবে শেষ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি মুমিনুল হকের। তবে এ নিয়ে কোনো আফসোসও নেই তার। দলের প্রয়োজনে খেলতে পারাকেই বড় করে দেখছেন লিটল মাস্টার।
Advertisement
‘আশরাফুল ভাই বারবার বলছিল ২০০ করার জন্য। শেষ পর্যন্ত হলেও হতে পারতো। হতো কিনা; জানি না তারপরও। আমার মনে হয় ৫০ ওভার খেলতে পারলে ভালো হতো। আসলে সবাই সমর্থন করছিল; কারণ সবাই খুব ভালোবাসে আমাকে। আর ওই সমর্থন কাজেও লাগছে। ওনারা যখন সমর্থন করেন নিজের কাছে ভালো লাগে।’ -বুধবার সাভারের বিকেএসপিতে ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেন মুমিনুল।
প্রশ্ন করা হয় ডাবল সেঞ্চুরি মিস করায় আফসোস কতটুকু? মুমিনুলের সাবলীল উত্তর, একটুও নেই।‘আমি সন্তুষ্ট। কারণ দলের জন্য রান করতে পারছি। যে পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করছিলাম, তখন দুইটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমি ও নাসির ভালো কামব্যাক করেছি। ভালো জুটি হয়েছে। যদিও উইকেট হিসেবে ২০-৩০ রান কম হয়েছে। সব মিলিয়ে চিন্তা করলে খুব ভালো লাগছে আমার কাছে।’ -যোগ করেন মুমিনুল।
এদিন প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেলেও শেষটা ভালো হয়নি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। ৪১ ওভারে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ২৬৩। সেখান থেকে মাত্র ৪৪ রান যোগ করে ১০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে তারা। তাই শেষ পর্যন্ত না খেলতে পারার কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে মুমিনুলের।
Advertisement
‘হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলাম। বাহির থেকে নির্দেশনাও এমন ছিল। আর খেলতে পারলে নিজের জন্যও ভালো হতো। তবে এত গরমে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এই কারণে হয়তো বা সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারিনি; আউট হয়ে গেছি।’
আরটি/এনইউ/জেআইএম