খেলাধুলা

আবাহনীকে হারিয়ে ১০ লাখ টাকা বোনাস পেলেন জিয়া-রাজ্জাকরা

সূর্য তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শেখ জামালের হাতে। বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছেন জিয়া আর নুরুল হাসান সোহান। ঠিক এমন সময় ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের ঠিক ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে নিচু হয়ে উড়ে গেল একটি হেলিকপ্টার।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট বক্সে বসা সাংবাদিকদের মধ্যে কে একজন বলে উঠলেন শেখ জামাল ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবাহান না তো? প্রশ্ন উঠল, তিনি কোথায় নামবেন? খেলা চলাকালীন তো আর মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারবে না।

পাশে বিশাল আউটার স্টেডিয়ামেও হেলিকপ্টার অবতরণের সুযাগ নেই। পুরো মাঠ নোংরা পানির অন্তত দেড় থেকে দুই ফুট নিচে। সেখানে হেলিকপ্টার নামা বহুদূরে, হাঁটাই সম্ভব নয়। তাহলে কোথায় নামবেন শেখ জামাল ক্রিকেট কমিটি চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবাহান?

ফতুল্লা স্টেডিয়ামের খুব কাছে আর তেমন উঁচু হেলিপ্যাডের মতো জায়গা নেই। বার দুয়েক ফতুল্লা স্টেডিয়ামের ওপর দিয়ে চক্কর দেয়ার পর অবশেষে মাঠের একটু দূরে মাঠের মতো খালি জায়গায় গিয়ে নামল সেই হেলিকপ্টার। সেখান থেকে নেমে সোজা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ড্রেসিং রুমে গিয়ে ঢুকলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ও প্রসিদ্ধ কর্পোরেট হাউজ ‘বসুন্ধরা’ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবাহান। যিনি শেখ জামাল ক্রিকেট কমিটিরও চেয়ারম্যান।

Advertisement

তিনি যখন নিজ দলের সাজঘরে, তখন খেলা মোটামুটি শেখ জামালের হাতে। শেষ পর্যন্ত নিজ দলের জয় স্বচক্ষে দেখেই গেলেন সাফওয়ান সোবাহান। চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে নিজ দলের জয় চোখে দেখাই নয়। ৬ উইকেটের স্মরণীয় জয়ের জন্য রাজ্জাক বাহিনীকে নগদ অর্থ পুরস্কারও দিয়ে গেলেন।

এমন বড় ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের হারানোর বোনাস হিসেবে শেখ জামাল পুরো দলকে ১০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার দিয়ে গেলেন সাফওয়ান সোবাহান। শেখ জামাল অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজের কাছে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘শেখ জামাল ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবাহান আমাদের পারফরম্যান্স ও জয়ে খুশি হয়ে ১০ লাখ টাকা বোনাস দিয়ে গেছেন।’

এআরবি/এনইউ/জেআইএম

Advertisement