খেলাধুলা

মুশফিক-মাশরাফির কাছে হেরে গেলেন আশরাফুল

তিনজনই জাতীয় দলের অধিনায়ক। মোহাম্মদ আশরাফুল সাবেক অধিনায়ক। আর বর্তমানে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টেস্ট দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিন অধিনায়ক খেলছেন দুই দলে। অর্থাৎ আশরাফুলের দল কলাবাগান, আর মুশফিক-মাশরাফি খেলছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে।

Advertisement

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আজ বুধবার আশরাফুলের কলাবাগানের মুখোমুখি হয় মুশফিক-মাশরাফির রূপগঞ্জ। ভক্তরা অধীর আগ্রহে ছিলেন ম্যাচটিতে কোন দল জয় পায়, তা জানার জন্য। ম্যাচের ফলও হয়ে গেছে। মুশফিক-মাশরাফির কাছে হেরে গেলেন আশরাফুল। কলাবাগানের বিপক্ষে রূপগঞ্জের জয়টা ৩ উইকেটের ব্যবধানে।

আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল। বিকেএসপির চার নম্বর আজ পুরোপুরি শুকায়নি। তাই পুরো ওভার মাঠে গড়ায়নি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কলাবাগান। আশরাফুলের দল ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে মাত্র ২৭ ওভার; ৮ উইকেটে তুলেছে ১৭৭ রান।

কলাবাগানের বিপদ তো শুরু থেকেই। ওপেন করতে নামা মোহাম্মদ আশরাফুলকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মোহাম্মদ শরীফ। কলাবাগান অধিনায়ককে মুশফিকের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকারে পরিণত করেন রূপগঞ্জের এই বোলার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে নিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টার করেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র।

Advertisement

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কলাবাগান পায় ৪৫ রান। মাসাকাদজা থামেন ২৯ রানে; মাহমুদুল হাসানের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়ে। মিডল অর্ডারে খেলতে নামা তুষার ইমরান (৬), তাসামুল হক (৫), মুক্তার আলী (১) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

শেষ দিকে জসিমউদ্দিন করেছেন ২২ রান। আর আবুল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ২০। কলাবাগানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়র। তার ৮১ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসটি সাজানো ৫টি চার ও একটি ছক্কায়।

রূপগঞ্জের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোশাররফ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সৈয়দ রাসেল, মোহাম্মদ শরীফ ও আসহার জাইদি।

১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে রূপগঞ্জ। অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে তাদের খেলতে হয়েছে ২৬.৪ ওভার। তার মানে, ২ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় মুশফিকুর রহীমের দল। রূপগঞ্জ পায় শুভসূচনা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৪ রান।

Advertisement

ওপেনার হাসানুজ্জামান ঝড় তোলেন। দ্রুত রান তুলতে গেলে যা হয়! মুক্তার আলীর বলে সরাসরি বোল্ড। বিদায়ের আগে ১৪ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে উপহার দেন হাসানুজ্জামান। সাবধানে পা ফেলছিলেন অপর ওপেনার ইজাজ আহমেদ। পা ফসকে গেছে তার। ২১ বলে ১৪ রানেই থেমেছেন তিনি।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন মুশফিক। অনেকটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন দলীয় অধিনায়ক। এই ৪৪ রান করতে খেলেছেন ৫৩ বল। ইনিংসটিতে বাউন্ডারি মাত্র ৩টি! ১৭ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন আসহার জাইদি।

ব্যাট হাতে মাশরাফির অবদানও কম নয়। ১৮ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৩ রান করেছেন। অলরাউন্ড পারফর্ম দেখিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। কলাবাগানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুক্তার আলী, আবুল হাসান ও সঞ্জীব সাহা।

এনইউ/এমএস