বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত বদলির আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতের প্রতি ‘অনাস্থা’ জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে শুনানির সময় এ ‘অনাস্থা’র কথা জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার।
আদালতে এ সংক্রান্ত এক আবেদনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী উল্লেখ করেন, ‘এ মামলা যখন দায়ের এবং অভিযোগ গঠন হয় তখন আপনি (বিচারক) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডিজি (মহাপরিচালক) ছিলেন। এ কারণে আমরা ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব বলে আশংকা করছি।
Advertisement
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজর এর বিরোধী করে আদালতকে বলেন, ‘আপনি এ মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন কারণ এ সংক্রান্ত ক্ষমতা উচ্চ আদালত আপনাকে দিয়েছে।’
বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনটি গ্রহণ করে হাইকোর্ট থেকে এ বিষয়ে আদেশ আনার জন্য ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
পরে দুদকের আইনজীবী জাগো নিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনটি আদালতের প্রতি অনাস্থারই শামিল। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।
Advertisement
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।
এফএইচ/এমএআর/আরআইপি