তথ্যপ্রযুক্তি

নিরাপত্তায় ‘সেলফ প্রটেক্ট’ অ্যাপস

নিরাপত্তা, জরুরি সাহায্য ও অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে অ্যাপস তৈরি করেছেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও ‘সেলফ প্রটেক্ট’নামের এ অ্যাপসটি কাজ করবে। এছাড়া এ অ্যাপস দিয়ে হারিয়ে যাওয়া ফোনও খুঁজে পাওয়া যাবে।

Advertisement

যেভাবে কাজ করবে ‘সেলফ প্রটেক্ট’সেবা পাওয়ার জন্য স্মার্টফোনে অ্যাপসটি ইনস্টল করতে হবে। বিপদের সময় ফোনের পাওয়ার বাটনটি পরপর তিনবার চাপলেই নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও স্বজনদের কাছে ওই মুহূর্তের কথাবার্তা ও অবস্থানের মানচিত্রসহ প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে যাবে। ফোন লক থাকা অবস্থায়ও কাজ করবে অ্যাপসটি।অ্যাপসটির দুটি অংশ। একটি ক্লায়েন্ট বা ইউজার অ্যাপস। অর্থাৎ সবার মোবাইলে যে অ্যাপসটি ডাউনলোড করা থাকবে। আরেকটি হচ্ছে নোটিফিকেশন রিসিভার অ্যাপস। এই অংশ থাকবে পুলিশের কাছে।  নাম, মোবাইল নম্বর ও নম্বর ভেরিফিকেশন কোড, ই-মেইল, রক্তের গ্রুপ, ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করলেই কাজ শুরু করবে অ্যাপসটি।বিপদে পড়ে মোবাইল ফোনের বাটন চাপলে নোটিফিকেশন কেন্দ্রীয় সার্ভারে পৌঁছাবে। কেন্দ্রীয় সার্ভার সাহায্যপ্রার্থীর সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটির ওয়েব অ্যাপস খুঁজে সেখানে নোটিফিকেশন পাঠাবে। এক্ষেত্রে জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে অ্যাপসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাহায্যপ্রার্থীর অবস্থান নিশ্চিত করে আশপাশের শব্দ ও ছবি ধারণ করে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনের ওয়েব অ্যাপসে পাঠাবে। পুলিশ স্টেশনের ওয়েব অ্যাপসের পাশাপাশি দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছেও একই বার্তা পৌঁছাবে।ছিনতাইকারী সিম পরিবর্তন করলেও অ্যাপসটি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই মোবাইল ফোনটির অবস্থান পুলিশের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ও স্বজনদের নম্বরে চলে আসবে। এতে ছিনতাইকারীর অবস্থান জানা ও তাকে আটক করা সম্ভব হবে।এছাড়া এই অ্যাপসের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনি সহায়তা কেন্দ্র, মানবাধিকার কমিশন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় অভিযোগ ও মতামত জানানো যাবে। পাশাপাশি জরুরি সেবা, যেমন হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, ব্লাড ব্যাংক ইত্যাদি সহায়তাও নেয়া যাবে। জানা যাবে নিকটস্থ হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, এটিএম বুথ, ব্যাংক, আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলের তথ্য ও ঠিকানাও। উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খুলনা বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ও একই বছর মেহেরপুর জেলা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের সম্মাননা পান সাদ্দাম হোসেন।এমআরএম/ওআর/আরআইপি