বয়স তো বেশি না, ১৮ বছর! আর এই বয়সেই বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানের ঘুম হারাম করে দিচ্ছেন রশিদ খান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন। যা নজরে আসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। রশিদকে দলে টানল চ্যাম্পিয়নরা। আর তাতে প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলার সুযোগ হয়ে যায় তার।
Advertisement
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আলো ছড়াচ্ছেন রশিদ। অভিষেকেই করেন বাজিমাত। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ম্যাচে তো আরও উজ্জ্বল। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় পকেটে পুরেছেন ৩ উইকেট। ওই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
এখন পর্যন্ত সানরাইজার্সের হয়ে রশিদ খেলেছেন ৭ ম্যাচ। ঝুলিতে জমা করেছেন ১০ উইকেট। সত্যিই অসাধারণ। গত মৌসুমে সানরাইজার্সের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান যেমন ঝলক দেখিয়েছিলেন, এবার সেটা করে যাচ্ছেন আফগান তরুণ রশিদ খান।
১৮ বছর বয়সী আফগান এই স্পিনারের কাছে হয়তো এতটা প্রত্যাশা ছিল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নইলে কি আর দলটির বোলিং কোচ ও লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন জানান, প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করছেন রশিদ?
Advertisement
রশিদের সঙ্গে সানরাইজার্সে আছেন আরেক আফগান মোহাম্মদ নবী। এই অলরাউন্ডার অবশ্য রশিদের মতো সুযোগ পাচ্ছেন না। পেয়েছেন যথসামান্যই। সুযোগ পেয়ে খুব একটা আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স দেখা পারেননি নবী। তারপরও দুই আফগান ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সে খুশি হায়দরাবাদ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং কোচ মুরালিধরনই যেমন বললেন, ‘আফগানিস্তানের স্পিনাররা ভালো করছে। বিশেষ করে রশিদ খান তো অসাধারণ একজন স্পিনার। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করছে হায়দরাবাদে। এই অভিজ্ঞতা তারা জাতীয় দলেও কাজে লাগাতে পারবে।’
এনইউ/এমএস
Advertisement