বিশেষ প্রতিবেদন

বিনিয়োগকারী থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ কর্তা

শাকিল রিজভী; পুঁজিবাজারে একটি সুপরিচিত নাম। ২০১০-১১ সালে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শীর্ষপদে (সভাপতি) দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০০২-০৩ সালে ডিএসই ট্রেক হোল্ডারস ক্লাবের সভাপতি, ২০০৪-০৬ পর্যন্ত ডিএসইর পরিচালক এবং ২০০৯ সালে দায়িত্ব পালন করেছেন সহ-সভাপতির।

Advertisement

বর্তমানে তিনি ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার কোটায় পরিচালক হিসেবে আছেন। সভাপতি থাকাকালীন পুঁজিবাজারে সর্বশেষ বড় উত্থান ও মহাধসের ঘটনা ঘটে। ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ সালের ধসও দেখেছেন তিনি।

পুঁজিবাজারে নানা ঘটনার সাক্ষী শাকিল রিজভী ছিলেন একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী। ১৯৮৭ সালে তিনি পুঁজিবাজারে প্রবেশ করেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শুরুটা সম্পর্কে জাগো নিউজের কাছে স্মৃতিচারণ করে শাকিল রিজভী বলেন, ‘বর্তমান ৯-ই মতিঝিলে আগে আমদানি-রফতানির অফিস ছিল। সেখান থেকে আমদানি করার লাইসেন্স দেয়া হতো। আমদানির লাইসেন্স নেয়ার জন্য আমি মতিঝিলে আসতাম। এ অফিসের ঠিক পাশের বিল্ডিংটি ছিল স্টক এক্সচেঞ্জের।’

আগে অকশনে শেয়ার বেচা-কেনা হতো। যেটা একটা কাচের ঘরের ভেতরে ছিল। বর্তমানে যে স্থানটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটি ছিল অকশন রুম। বিনিয়োগকারীরা দূর থেকে দেখতে পারতেন ভেতরে কী হচ্ছে। চারদিকে গোল করা কিছু টেবিল ছিল। ওখানে ব্রোকাররা শেয়ার কেনাবেচা করতেন। ওয়ালের মধ্যে বোর্ড ছিল, সেখানে দাম লেখা হতো। শেয়ার কেনা-বেচার এ চিত্র ব্যক্তি শাকিল রিজভীকে কৌতূহলী করে তুলত।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘জিনিসটা (কাচের ঘরের মধ্যে শেয়ার লেনদেনের চিত্র) দেখে আমার খুব কৌতূহল হতো, আসলে কি হচ্ছে? কৌতূহল থেকেই পুঁজিবাজারে জড়িয়ে পড়া।’ তখন আমার বয়স ২৬। শুরুতে প্রাইমারি মার্কেটের (আইপিও) শেয়ার কিনতাম। ওই সময় শেয়ার লেনদেন করতে ব্রোকার লাগত, কিন্তু হিসাব খোলা বলে কিছু ছিল না। প্রাইমারিতে পাওয়া শেয়ার নিয়ে কোনো ব্রোকারের কাছে গেলে তা বিক্রি করে সাতদিন পর টাকা পেতাম।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) না থাকায় কোম্পানি থেকে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিওর আবেদন করতে হতো। লটারিতে আইপিও পেলে কোম্পানিতে গেলে শেয়ার বিভাগ থেকে বরাদ্দের একটি লেটার দেয়া হতো। আর লটারি না বাদলে লভ্যাংশের চেকের মতো একটি চেক দিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা আবেদন করতেন সবাই শেয়ার পেতেন।’

১৯৮৭ সালের দিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুঁজিবাজারের বিষয়ে তেমন ধারণা ছিল না বলেও জানান শাকিল রিজভী। বলেন, ‘মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে পুঁজিবাজার সীমাবদ্ধ ছিল। প্রাইমারি মার্কেটেই আমার এক বছর গেছে। প্রাইমারি করেই আমি বিষয়টি (সেকেন্ডারি মার্কেট) ক্লিয়ার হয়েছি। এমনও হয়েছে প্রাইমারিতে শেয়ার কিনে টাকা পানিতে ফেলে দিয়েছি। ১০০ টাকার আইপিও’র শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে ৮০ টাকায়ও বিক্রি করতে হয়েছে।’

সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রবেশের বিষয়ে শাকিল রিজভী বলেন, ‘সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রথমে মোটামুটি অ্যামাউন্টের শেয়ার কিনতাম। ওই সময় টাকার অনেক দাম ছিল। মানুষ ৫ থেকে ১০টা শেয়ার কিনত। পুঁজিবাজারে আমি যখন আসি অর্থাৎ ১৯৮৭ সালে একটি বড় ধস হয়।’

Advertisement

‘ওই ধসে বিনিয়োগকারীদের অনেক লোকসান দিতে হয়। সূচক উঠেছিল সাড়ে ৭০০ পয়েন্টের মতো। আমি যখন সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার কেনা শুরু করি সে সময় সূচক ছিল ২৪০ পয়েন্ট। এরপর সূচক আরও কমে ১৯০ পয়েন্টে চলে আসে’- যোগ করেন তিনি।

ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে বর্তমান পুঁজিবাজার এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সেই সময়ের ধসটি ১৯৯৬ সালের ধসের থেকে বেশি বেদনাদায়ক ছিল। কারণ টাকার পরিমাণ ছিল কম, বাজার ছিল ছোট। কোনো কোনো দিন ৫ লাখ টাকাও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সে সময় সাধারণ মানুষ ছিল না, ব্রোকাররা বা অল্পকিছু মানুষ ছিল। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংক শেয়ার কেনার জন্য ওই সময় লোন দিত।’

শাকিল রিজভী বলেন, ‘প্রায় চার-পাঁচ বছর আমি বিনিয়োগকারী ছিলাম। ব্রোকারের মাধ্যমে লেনদেন করতাম। ওই সময় আমি বেশ ভালো বিনিয়োগকারী ছিলাম। যে কারণে অনেক মেম্বারও আমাকে চিনতেন। ১৯৯২ সালের কথা, অনেকটা কৌতূহলের বসে ব্রোকারেজ হাউজ কিনে ফেলি।’

‘যেহেতু আমি নিয়মিত স্টক এক্সচেঞ্জে আসা-যাওয়া করতাম, তাই কমফোর্টেবলের (স্বস্তি) জন্য ব্রোকারেজ হাউজ কেনা। ব্রোকারেজ হাউজ থাকলে বসা যায়, ভেতরে লেনদেন করার সুযোগ পাওয়া যায়। আমি যে সময় মেম্বারশিপ কিনলাম, তখন নিজে শেয়ার নিজেই কেনা-বেচা করতাম। কোনো ক্লায়েন্ট (গ্রাহক) ছিল না। যে মেম্বারশিপ কিনেছিলাম সেখানে কোনো রুম ছিল না। শুধু লাইসেন্স ছিল। ক্লায়েন্ট না থাকায় অন্যের সঙ্গে ছোট রুম শেয়ার করতাম। আনুমানিক ছয় মাস পর কয়েকজন ক্লায়েন্ট আসতে শুরু করেন’- বলেন শাকিল রিজভী।

তিনি বলেন, আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিল না। জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি)- এ ‘কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যু’ নামের একটি উইং ছিল। ওই উইং এটির তদারকি করত।

‘স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ১৯৯৩ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আবির্ভাব ঘটে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হওয়ার আগে কোনো মেম্বারের কাছে শেয়ার বিক্রি করলে ওই মেম্বার টাকাটা ঠিক মতো দিতে পারত না। সাত দিনের জায়গায় ১৫ দিনও লেগে যেত। অনেক সময় টাকা ভেঙে ভেঙে দেয়া হতো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হওয়ায় এ সমস্যার সমাধন হয়েছে’- বলেন শাকিল রিজভী।

পুঁজিবাজারে আগ্রহী হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো ব্যবসা কেনার পর বিক্রি করা খুবই কঠিন। আপনি একটি জমি কিনেছেন, তাৎক্ষণিক কিন্তু বিক্রি করা যাবে না। আমার কাছে এটা (পুঁজিবাজার) খুব মজার বিষয় ছিল, আরে এটা (শেয়ার) তো বিক্রি করা যায়। আমি কিনছি আবার বিক্রি করলে টাকা পাচ্ছি। এ স্বাচ্ছন্দ্য আছে। বেশি অথবা কম- যাই হোক শেয়ারবাজার থেকে টাকা পাওয়া যায়, এ নিশ্চয়তা আছে।

শালিক রিজভী বলেন, ‘শেয়ারবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে ওঠেন মূলত ১৯৯৫ সালের দিকে। এর আগে ১৯৯৩-৯৪ সালে শেয়ারবাজারে কিছু ফরেন ফান্ড (বিদেশি তহবিল) আসে। বিদেশিরা পুঁজিবাজারে প্রবেশ করে ১৯৯৬ সালে একটি বাবল সৃষ্টি করে। সেই বাবলে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান তারা।’

‘টানা বৃদ্ধির কারণে ১৯০-তে যে সূচক ছিল তা ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। ৫-৬ লাখ টাকার লেনদেন ১৯৯৬ সালের দিকে ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ধস নামার কারণে ৩ হাজর ৬৬০ পয়েন্ট থেকে সূচক ৫৯০ পয়েন্টে চলে আসে’- যোগ করেন তিনি।

‘বিনিয়োগকারীরা আগে দক্ষ ছিলেন’- এমন মন্তব্য করে ডিএসই’র সাবেক এ সভাপতি বলেন, গুণগত মানের দিক থেকে ১৯৯৬ সালের আগের বিনিয়োগকারীরাই ভালো ছিলেন। ওই সময় তারা বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতেন। এখনকার দিনে আইটেম খোঁজা হয়, সে সময় রিপোর্ট কী বলে তা বিশ্লেষণ করা হতো। যে কোম্পানির শেয়ার কিনতাম সরেজমিন তা পরিদর্শন করতাম। ভেতরে না গেলেও বাইরে থেকে কোম্পানির অস্তিত্ব আছে কিনা তা দেখে আসতাম। একটা কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানি কী বানায়, কোথায় আছে তা জানা উচিত। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা এটা করে না। তবে যারাই বিনিয়োগ করছেন তাদের উচিত বিষয়গুলোর খোঁজ নেয়া।

অতীত ও বর্তমান শেয়ারবাজারের মধ্যে গুণগত পার্থক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ খুব একটা ছিল না। ইন্ডিভিজুয়াল ব্রোকাররাই শীর্ষ দশে থাকত। এখন আমি শীর্ষ দশে নেই। প্রায় পাঁচ বছর আমি শীর্ষ পাঁচে ছিলাম। ব্যক্তি ব্রোকাররাই বাজারকে গতিশীল করে রেখেছিল। ব্যাংক আসার পর আমরা যারা ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ছিলাম তারা পেছনে চলে আসি। এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় মার্কেট প্লেয়ার।

পুঁজিবাজারে উত্থান ও পতনের বিষয়ে শাকিল রিজভী বলেন, ‘বাবল অ্যান্ড বাস্ট’ এটা পুঁজিবাজারে চলতেই থাকবে। এটা কখনই থামবে না। আস্তে আস্তে সবকিছু পুঁজিকরণ হতে থাকে। সেই সঙ্গে আশা-প্রত্যাশা বাড়তে থাকে। দাম বাড়তে থাকে, কিন্তু কোম্পানির আয় আর ওইভাবে বাড়ে না।

‘একটা সময় থাকে কোম্পানি আয় করে বেশি, শেয়ারের দাম আন্ডার প্রাইস থাকে। এরপর মানুষ আসতে আসতে এ প্রাইস অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু কোম্পানির আয় প্রাইসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে না। একটা পর্যায়ে এসে বাস্ট হয়। আবার কিছু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকে’- যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাবল অ্যান্ড বাস্টের সন্ধিক্ষণে আমি ডিএসই’র সভাপতির দায়িত্ব নেই। সময়টা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। সে সময় চ্যালেঞ্জটা নেয়ার মতো কেউ ছিল না। বোর্ডের সদস্যরা কেউ সে সময় দায়িত্ব নিতে চায়নি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বারবার সাবধান করেছি। পুঁজিবাজার টানা বাড়ার পর যে কী বিপর্যয় হয়, সে বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

বর্তমান বাজারের চিত্র ভালো উল্লেখ করে শাকিল রিজভী বলেন, বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। যত কম দামে শেয়ার কেনা যায়- বিনিয়োগকারীদের সেই চেষ্টা করতে হবে। লাভ হলে শেয়ার ছেড়ে দিতে হবে। শেয়ারের দাম কত, লভ্যাংশ কী দিচ্ছে, এনএভি (কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য) কতো, শেয়ারপ্রতি আয় কতো- এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে বর্তমানে শেয়ারের যে দাম আছে, সেই দামে কেনা উচিত হবে কিনা? বিনিয়োগকারীদের এটা বিশ্লেষণ করা শিখতে হবে।

‘বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) যাওয়া উচিত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের এজিএম-এ গিয়ে কোম্পানির উন্নয়নের জন্য খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। আগে যারা মোটামুটি ভালো বিনিয়োগ করত, তারা প্রত্যেকে এজিএম-এ যেতেন। আমি চার-পাঁচ বছর নিয়মিত এজিএম-এ গিয়েছি। নতুন বিনিয়োগকারীসহ সকলের এজিএম-এ যাওয়া প্রয়োজন। এজিএম থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।’

‘আমি জানি না এখনকার বিনিয়োগকারীরা এজিএম-এ যাই কিনা। তবে মনে রাখতে হবে ৩৬৫ দিনের মধ্যে এজিএম’র এ দিনটি হলো বিনিয়োগকারীদের। এজিএম-এ উপস্থিত হয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে। কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন করতে হবে। তবে কোনো ব্যক্তি বা স্পন্সরকে এজিএম-এ হেয়প্রতিপন্ন করা যাবে না। তাহলে ভালো স্পন্সররা আসবেন না’- বলেন শাকিল রিজভী।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা অনেক কম। বাংলাদেশে যে পরিমাণ লিমিটেড কোম্পানি আছে, সে হিসেবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা এত কম হওয়া ঠিক নয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ইনসেনটিভ দেয়া যেতে পারে। ব্যাংক লোনের বিষয়ে কিছু বাধা সৃষ্টি করা যেতে পারে। যেমন ১০০ কোটি টাকার বেশি লোন নিতে হলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। বাজারে বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে সরকারও অনেক বেশি রাজস্ব পাবে- বলেন শাকিল রিজভী।

এমএএস/এমএমএ/এমএআর/জেআইএম