নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদে নির্যাতিতাকে উপস্থাপনের ধরন বিষয়ে ই-গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।
Advertisement
গাইডলাইনের খসড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা চূড়ান্ত করা হয়। একই সঙ্গে গাইডলাইন অনুসরণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
সোমবার মোহাম্মদপুরে বিএনপিএস’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সংক্রান্ত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় গণমাধ্যম নিয়ে সংস্থাটির কাজের পটভূমি এবং খসড়া গাইডলাইনটি উপস্থাপন করেন সমন্বয়কারী মুজিব মেহদী।
আলোচনায় অংশ নেন বিএনপিএস’র পরিচালক মাহফুজুল বারী চৌধুরী, উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী ও সমন্বয়কারী ফয়সাল বিন মজিদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন, রতন বালো, গাজী শাহনেওয়াজ, হাবিবুর রহমান, শাহজাহান মোল্লা, আরিফুর রহমান তুহিন, মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
Advertisement
গাইডলাইনে নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদের কাভারেজ, সহিংসতার শিকার নারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সংবাদে তাকে উপস্থাপন, দায়ী ব্যক্তিকে উপস্থাপন, আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব, সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব, গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতি প্রভৃতি বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা অনুসরণ করলে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা কমে আসবে বলে বক্তারা মনে করেন।
গাইডলাইনটির উপর ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করে আলোচকরা বলেন, এটি ব্যাপকভাবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের নজরে আনা গেলে এবং এটি অনুসরণে তাদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদগুলো জেন্ডার সংবেদনশীল হবে। এছাড়া গাইডলাইনের একটি টেক্সট ভার্সন গণমাধ্যম, বিশেষ করে অনলাইনগুলোতে পরিচর্যার ব্যবস্থা নিলে এটি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছাবে বলে মত দেন তারা।
উল্লেখ্য, বিএনপিএস বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টদের ব্যবহারোপযোগী ই-নির্দেশিকার খসড়া তৈরি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত খসড়াটি আলোচনা শেষে চূড়ান্ত করা হয়। যা অচিরেই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এইচএস/এমএআর/এমএস
Advertisement