জাতীয়

ফিরে দেখা রানা প্লাজার হাহাকার

ইতিহাসের পাতা থেকে ২৪ এপ্রিলের অশ্রুর দাগ মুছে যাবে না কখনও। শিল্প বিপ্লবের পর মানব সভ্যতা উৎকর্ষতার যে অনন্য মাত্রা পায়, ৪ বছর আগের ঠিক এই দিনে তা যেন ম্লান হয় শ্রমিকের রক্ত আর লাশে।

Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্পভবন দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণ যায় ১১শ’র বেশি শ্রমিকের। সরকারি হিসেবে আহতও হন প্রায় সমপরিমাণ।

লাশ, হাহাকার, আর্তনাদ, প্রার্থনা, অশ্রু আর লড়াই- এতেই সেদিন আবদ্ধ হয়েছিল সাভার। ৪ বছরে পেরিয়ে এসে ফিরে দেখা ইতিহাসের ভয়াবহ সেই দিনটির খণ্ডচিত্র।

এ ছবিটি যখন তোলা হয়েছিল তখন কেবল ১৯৪ জনের মৃত্যুর খবর ছিল। সেই ১৯৪ জনের মধ্যে একজন ছিল এই কিশোরীর মা।

Advertisement

রানা প্লাজার কারখানগুলোতে যারা কাজ করতেন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বয়সে তরুণ। এই যুবকের কান্না তার এক স্বজনের জন্য।

সারি সারি করে রাখা মরদেহগুলোর মধ্যে একটির মুখ চিনতে পেরেছেন এই নারী, এটি তার বোনের লাশ।

এই মা খবর পেয়েছেন তার মেয়ে আর ফিরবে না।

ভবনটি ধসে পড়ার পরপরই যে যেভাবে পারেন এগিয়ে এসেছিলেন।

Advertisement

ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রাণের সর্বশেষ অস্তিত্বটুকু খুঁজে পেতে চেষ্টার কারো কমতি ছিল না। নিজের জীবনেরও পরোয়া করেননি অনেকে।

ধসে পড়া ছাদের উপর ছাদ। নিচে বেঁচে আছেন কেউ কেউ। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা।

উদ্ধারের চেষ্টার ড্রিল করে ঢালাই ভাঙা গেলেও এরপর দেখা গেল লোহার বাধা।

অগ্নি নির্বাপক বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাণান্ত চেষ্টা।

নিহত এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকারীরা।

বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এরইমধ্যে জীবিত উদ্ধার করা গেছে এক তরুণীকে। মৃত্যু ছুঁয়ে ফেরা এই তরুণীর চোখে-মুখে আতঙ্ক। তাকে সাহস যোগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এক স্বেচ্ছাসেবক।

একদিকে বাড়ছে লাশের সংখ্যা, অন্যদিকে বাড়ছে আহতের আর্তনাদ। উদ্ধারকারীরা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আহত এক নারী। আশার কথা এটুকুই- তিনি বেঁচে আছেন।

ধসে পড়া ভবনটির পাশেই উদ্ধারকারীদের জটলা।

উদ্ধারকারীদের চেষ্টা।

একটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী। এই নারী আছেন তার স্বজনের সন্ধানে। ঢেকে রাখা লাশের মুখটা তিনি দেখে নিচ্ছেন। হতে পারে এটিই তার স্বজনের মরদেহ।

দু’পাশে লাশের সারি। মাঝে বসে এই নারীর আর্তনাদের কোনো সীমা নেই।

পড়ে থাকা লাশগুলো যদি তাদেরই স্বজনের হয়। এই শঙ্কা নিয়ে মরদেহের মুখগুলো দেখে নিচ্ছেন তারা।

এনএফ/পিআর