সাহিত্য

ফারিয়া প্রমার তিনটি কবিতা

কে

Advertisement

আমায় কে নিয়েছিলো ডেকেকোন গগনে, কোন পোড়া আস্তিনে

আমায় কে রেখেছিলো বেঁধেস্বপ্ন প্রেমে রোদ্দুর ছুঁতে

আমায় কে দিয়েছিলো নন্দিত সুখ, ভেজা গন্ধ- ভেজা শরীর, ভেজা সুখে শুষে নেওয়া সবটুকু ওম;

Advertisement

আমায় কে বলেছিলো, ফুলহীন ফুলদানির ক্ষুধার্ত গল্প,গল্পের ভেতর মেলেছিলো কে দৃষ্টি মৃদু প্রসন্নতায়! আমায় কে ছুঁয়েছিলো বিষণ্ণ বিশ্বাসে রেখেছিলো কে নিশ্বাস আয়নার ভেতরে,

আমায় কে দেখিয়েছিলো স্তম্ভিত যৌবনউরুর ভাঁজে কে রেখেছিলো হিম সম্ভাষণআর দিয়েছিলো অবিরাম অনন্ত শিহরণ।

****

তোমার আঙুলের ভেতর

Advertisement

তবুও ছায়ার অন্তরালেতোমার নির্বিশেষ আলোয়আমি হারিয়ে যাই নিমগ্ন সন্ধ্যায়শুধু নষ্ট ভুলে পড়ে আছে, তোমার ছেড়ে দেওয়া পাল!

পোড়া নৌকো ভেসে ওঠে আমার উজ্জ্বল ছায়ায়; তুমি ভাসিয়ে দাও আমার উজ্জীবিত সংগীত।

পোড়া বালিশ, পোড়া নৌকো, পোড়া সংগীত তুমি রেখে দাও আমার আঙুলের ছায়ায়!

তুমি হত্যা করো রুপালি সবুজ আর আমার প্রিয়মুখ;

পর্দার ওপাশে পড়ে থাকা তোমার বিবর্ণ বয়স আর এপাশের পর্দায় ভেসে ওঠা অনাবিল মৃত্যু

আমরা আমাদের প্রস্থান গড়ি জীবন আর সময়ের বিপরীতে তবুও ইচ্ছের কার্নিশে বেঁচে থাকি নির্লিপ্ত রুটির মত।

****

আদর

সন্ধ্যে নামতেই যদি মনে হয়,দিনটি কেটেছে অযথায়!তখনও যেতে পারো অন্য প্রেমিকার কাছে। যেতে পারো আলাদা এক তরঙ্গ নিয়ে, যেতে পারো সকরুণ জোনাকির আহ্লাদ নিয়ে!আমি না হয় ভুলেই যাবো, আমার যত মেঘে ওড়া বর্ণোচ্ছটা;

আমার কি এলো- গেলোযদি এক বসন্ত যায় এলোমেলো?

পরিণীতা আমি জেনেছি- আলস্য দুপুরে পরনের শাড়ি নিংড়েকীভাবে সঞ্চয় করা যায় উষ্ণ আদর।

এসইউ/জেআই্এম