দেশজুড়ে

চোখের জলে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা

রানা প্লাজা ধসের চার বছর পূর্তিতে হতাহত শ্রমিকদের স্মরণ করেছেন পোশাক শ্রমিক, বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে সোমবার সকাল থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে হতাহত শ্রমিকদের স্বজন ও অনাথ শিশু এবং উদ্ধারকর্মীরা অংশ নেন।

সকাল থেকেই অশ্রুসিক্ত নয়নে স্বজন হারানো মানুষেরা সমবেত হন রানা প্লাজার সামনে। বিভিন্ন সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও জড়ো হন রানা প্লাজা এলাকায়। একে একে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সবাই।

শ্রদ্ধা জানায়, রানা প্লাজা সার্ভাইবার অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয় গণফ্রন্ট, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, শিল্প পুলিশ-১, ঢাকা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক, শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা সুরক্ষা ফোরাম, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন, উদীচি শিল্প গোষ্ঠী, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি লীগ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা।

Advertisement

বিভিন্ন আয়োজনে পুলিশের `বাধা`

শ্রদ্ধা জানানো শেষে রানা প্লাজার সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে প্রতিটি সংগঠন। এসময় রানা প্লাজা সার্ভাইবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় অভিযোগ করে বলেন, ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বিভিন্ন আয়োজন পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। অদৃশ্য কারণে পুলিশ এ বছর কোনাে আয়োজন করতে দেয়নি।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নিজেদের বেদনা ও দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন হতাহতদের স্বজনরা।

রানা প্লাজায় আহত সাদ্দাম হোসেন পুনর্বাসন ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। ভবন মালিক সোহেল রানাসহ জড়িতদের শাস্তির দাবিও জানান তারা।

Advertisement

হতাহতদের স্মরণ ও সমাবেশের পাশাপাশি বিক্ষোভও করেন শ্রমিক সংগঠনগুলো। মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করেন সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা।

আল-মামুন/এফএ/জেআই্এম