অর্থনীতি

মান অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ-রাশিয়া সমঝোতা শিগগিরই

বাংলাদেশের জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং মানসম্পর্কিত আইন কাঠামো প্রণয়নে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। শিগগিরই এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে।

Advertisement

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে শনিবার বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মস্কোতে ‘ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেশন অ্যান্ড মেট্রোলজি’ পরিদর্শন ও বৈঠককালে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বরিস পটেমকিন এ প্রস্তাব দেন।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির উপ-প্রধান গোগোলেভ দিমিত্রি, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এর্ডিনিইয়েভা, আইএমইডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেগুলেটরি কাউন্সিল প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুল হাসান, মন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব এফ, এম, মাহমুদ (কিরন)সহ দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে গুণগতমান অবকাঠামোর উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এ সময় শিল্পমন্ত্রী ইউনিডোর সহায়তায় বাংলাদেশ প্রণীত ‘জাতীয় গুণগতমান (পণ্য ও সেবা) নীতি-২০১৫’ সম্পর্কে তুলে ধরেন।

Advertisement

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য ‘বাংলাদেশ জাতীয় গুণগতমান ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এ কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জাতীয় গুণগতমান নীতি, মান অবকাঠামো ও গুণগতমান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান কারিগরি আইন, অ্যাক্রেডিটেশন ও সার্টিফিকেশন বডির সক্ষমতা বাড়াতে রুশ সহায়তার প্রস্তাব ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে উভয় দেশের সম্মতিতে দ্রুত এ বিষয়ে সমঝোতা স্বারক সই করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ইতোমধ্যে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদার করেছে।

Advertisement

আমরা এখন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে কাজ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের ধারা জোরদারে রাশিয়ান মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠানগুলো কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে পারে।

এসআই/এমএমজেড/পিআর