জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিং লাগানোর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। মাত্র কিছুদিন আগেও যেখানে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টি ও সর্বোচ্চ ৩০টি হার্টের রিং রোগীদের লাগানো হতো সেখানে রোববার সারাদিনে মাত্র ৩ জন রোগীর দেহে ৪টি হার্ট রিং লাগানো হয়। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, ৩ নম্বর ক্যাথল্যাবে ২ জন রোগীর দেহে ২টি রিং ও ৫ নম্বর ক্যাথল্যবে ১ জন রোগীর দেহে ২টি রিং লাগানো হয়। কিন্তু কিছুদিন ধরে রিং লাগানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের হার্টের রিং এর মূল্য বেঁধে দেয়ায় চিকিৎসকরা আগের মতো রিং সরবরাহকারী কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন না। এটিই তাদের নিরুৎসাহের প্রধান কারণ।
হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, সপ্তাহ দেড়েক আগেও সরকারি বিশেষায়িত এ হাসপাতালে ৫টি ক্যাথল্যাব একটি দিনের জন্য ফাঁকা থাকতো না। হার্ট ব্লকে আক্রান্ত রোগীরা ক্যাথল্যাবে হার্টের রিং লাগানোর জন্য সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতেন। চিকিৎসকদের মধ্যেও ক্যাথল্যাব পাওয়া নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলতো। কিন্তু হঠাৎ করে চিকিৎসকদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে।
Advertisement
ভিন্ন একটি সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালের মতো বেসরকারি হাসপাতালেও বর্তমানে হার্টের রিংয়ের দাম হ্রাস পাওয়ায় অনেক রোগী স্বেচ্ছায় আবার অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের রিং লাগাতে যাচ্ছেন।
এদিকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজাল হোসেন চিকিৎসকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে হার্টের রিং এর দাম বেশি নেয়া যাবে না।
এমইউ/এআরএস/জেআই্এম
Advertisement