আন্তর্জাতিক

এবার অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক হামলার হুমকি উ. কোরিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বলছে, ক্যানবেরা যদি অন্ধভাবে এবং প্রবল আগ্রহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুস্মরণ করে তাহলে ওই হামলা চালানো হবে। ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে ওই হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়া বিশপের সমালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

এর আগে জুলিয়া বিশপ বলেন, দুর্বৃত্ত এই দেশটির ওপর অস্ট্রেলিয়া আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য নোংরামি ছড়ানোয় অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে উত্তর কোরিয়া।

কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়াকে বিচ্ছিন্ন ও দমন করার জন্য যদি অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুস্মরণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত শক ব্রিগেডে পরিণত হয় তাহলে এটি হবে আত্মঘাতী। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক হামলার আওতায় আসবে ক্যানবেরা।’

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তোষামোদ করার আগে চাটুকারিতার ফলাফল সম্পর্কে দু’বার চিন্তা করা অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য বেশি ভালো হবে।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি’র এএম অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশপ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়; তাহলে তা অস্ট্রেলিয়ার জন্যও ‘মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছে যে, দেশটির এ ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না। এছাড়া পারমাণবিক অস্ত্রধর উত্তর কোরিয়া আমাদের অঞ্চলে গ্রহণযোগ্য নয়।’

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখা দেয়ায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনশন’কে কোরীয় উপদ্বীপে পাঠানোর নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের এই উত্তেজনার মাঝেই এশিয়ায় মার্কিন মিত্র দেশগুলোতেও হামলার হুমকি দিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া।

Advertisement

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।

এসআইএস/জেআইএম