সাতক্ষীরায় এ বছর আমের ফলন বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় প্রতিটি গাছেই কমবেশি আম ধরেছে। গত বছর ফলন কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু চলতি বছর যদি দাম পাওয়া যায় তবে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে এমনটাই জানালেন আম ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
আশপাশের এলাকাঘুরে দেখা যায়, আম চাষিরা ব্যস্ত বাগান পরিচর্যায়। তারা আশা করছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও ভালো ফলন পাবেন। পাঁচ বছর ধরে এই অঞ্চলে আমের উৎপাদন ক্রমেই বেড়েছে।
আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী মোড়ল জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর আম খুব কম হয়েছিল। যার কারণে লাভ দূরের কথা খরচের টাকাটা পর্যন্ত উঠেনি।
তবে এ বছর আমের ফলন বেশি হয়েছে। এখন যদি দামটা ঠিকমতো পাওয়া যায় তবে গত বছরের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। আগামী এক মাস পর আম সংগ্রহ করা যাবে।
Advertisement
এদিকে, এই অঞ্চলের দামি আমগুলোর মধ্যে রয়েছে গোপালভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া। এই তিন প্রকার আমের চাহিদা সব সময় যেমন বেশি তেমন দামও বেশি।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের দেশি প্রজাতির আমও রয়েছে। যেগুলো কম দামে এলাকার হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি হয়। পাশাপাশি সাতক্ষীরার হিমসাগর আম বিদেশে রফতানি হয়। ইউরোপ, জার্মানি, ইতালি ও ইউকেতে এখান থেকে প্রতিবছর আম পাঠানো হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, এক বছর আমের ফলন বেশি হলে অন্য বছর কম হয়। গত বছর আমের ফলন কম হওয়ায় এ বছর ফলন বেড়েছে। গত বছর ফলন কম হওয়ায় বিদেশে সামান্য পরিমাণ আম রফতানি হয়েছিল। এ বছর আমের ফলন বেশি হওয়ায় রফতানিও বাড়বে। আর ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। আশা করছি, এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় আমের উৎপাদন ও সংগ্রহ হবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি আরও বলেন, আমে কার্বাইট প্রয়োগে সকল আম ব্যবসায়ীদের বিধি নিষেধ রয়েছে। এরপরও যদি কোনো ব্যবসায়ী একাজে লিপ্ত হয় তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/এএম/আরআইপি