পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ফ্রান্সে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদারের ঘটনা সব দেশেই একটি সাধারণ চিত্র। কিন্তু ফ্রান্সের আজকের নিরাপত্তার পেছনে ভোট ছাড়াও অন্য কারণ রয়েছে।
Advertisement
মাত্র তিনদিন আগেই রাজধানী প্যারিসের চ্যাম্প এলিসিতে বন্দুকধারীর হামলায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই হামলার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠোর করা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ এবং ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ফ্রান্সের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন। এদের মধ্য থেকেই একজন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচতি হবেন।
Advertisement
তবে আজ যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট কেউ-ই না পান তবে ৭ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজকের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দু’জনের মধ্যে সে দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ক্ষমতাসীন দলের একমাত্র নেতৃত্বস্থানীয় দাবিদার ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁর নির্বাচনে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭ মে সবচেয়ে বেশি ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এর সাতদিন পর অর্থাৎ ১৪ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওঁলাদের কাছে থেকে দায়িত্ব নেবেন নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট।
দেশের বিভিন্ন স্থানের ভোটকেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকেই চালু করা হয়েছে। তবে দেশের বাইরের কেন্দ্রগুলোতে শনিবারই ভোট শুরু হয়েছে।
চারজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে আছেন রক্ষণশীল দলের ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁ, ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেন, উদার মধ্যপন্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কট্টর বামপন্থী প্রার্থী জঁ-লাক মেলেঁশঁ।
Advertisement
এই প্রার্থীরা দেশজুড়ে বেশ কিছু বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। প্রত্যেকেই ইউরোপ, অভিবাসন, অর্থনীতি এবং ফ্রান্স সম্পর্কে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তারা এসব ইস্যুতে কী কী করতে চান সেগুলোই তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকের আলাদা মতাদর্শ রযেছে।
এখন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তার জন্যই অপেক্ষা করছে ফ্রান্স।
টিটিএন/এমএস