আজান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা ভারতীয় গায়ক সনু নিগমকে ‘জুতার মালা পরালে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার’ ঘোষণা দেয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদেরিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
Advertisement
গত শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে কাদরি বলেন, ‘আমি শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন একটা এসএমএস আসে। সনু নিগমের বিরুদ্ধে আমি কেন কথা বলেছি, সেই প্রশ্ন তুলে পরিবারসহ আমাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এসএমএস আসার পর আমি ওই নম্বরে ফোন করি। প্রথমে কেউ ধরেনি, তারপর যতবারই চেষ্টা করেছি ফোন করতে ততবারই নট রিচেবল জানিয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেল করেছি ঘটনাটা জানিয়ে।’
হুমকি দেয়া এসএমএসে লেখা ছিল, ‘হিন্দুস্তানের গর্ব সনু নিগমের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তোর হলো কী করে? শোন কাদরি, এরপরে যদি সনুর বিরুদ্ধে যদি একটা কথাও বলিস তাহলে তোকে আর তোর পরিবারকে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেব। কারও বাবা তোকে বাঁচাতে পারবে না।’
Advertisement
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিশাল গর্গ বলছেন, ইমেলে পাঠানো অভিযোগটি তার হাতে এখনও পৌঁছায়নি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চই নেয়া হবে।
এর আগে, আজান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদেরি ঘোষণা দেন, সনুকে যদি কেউ চুল ফেলে, ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে দেশ ঘোরাতে পারেন, ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
এরপর সনু টুইটারে ঘোষণা দিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মাথা ন্যাড়া করেন। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতে চুল ফেলার সময় সাংবাদিক ডাকেন সনু। সেখানেই তিনি সেই মুসলিম নেতাকে সরাসরি বলেন, ‘আমি কথা রেখেছি। নিজেই চুল ফেলেছি। এবার আমার বাড়িতে ১০ লাখ টাকা পৌঁছে দিন।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল (সোমবার) আজান নিয়ে বিতর্ক মন্তব্য করে টুইট করেন সনু। তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রতিদিন ভোরে আজানের ‘কর্কশ’ শব্দের কারণে ঘুম ভেঙে যায় তার। এজন্য তিনি বিরক্ত হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদের সময় তো বিদ্যুৎ ছিল না। এখন মাইক্রোফোনে আজানে সুর অনেক কর্কশ।’
Advertisement
আজানের ধ্বনিকে ‘জোর করে চাপিয়ে দেয়া’ ধর্ম বলেও উল্লেখ করেন সনু।
বিএ/এমএস