ধরলার পানি বিপথসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপথসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ৫৭ ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ।স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপথসীমার ৪০ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৮ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।জেলায় চার শতাধিক মৎস প্রকল্প পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ১৫ দিন ধরে তলিয়ে থাকায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম।সংকট দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির। ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ। জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান, দুর্গম চরাঞ্চল গুলোতে জরুরি ভিত্তিতে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement