জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি যতই না বলুক, তাদেরকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনে না আসলে দলের নিবন্ধন থাকবে না। তাই বিএনপি নির্বাচনে আসতে বাধ্য।
Advertisement
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নগরীর দর্শনা মোড়স্থ পল্লী নিবাস বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাইকোর্টে গ্রিক মূর্তি সম্পর্কে এরশাদ বলেন, এই মূর্তি ইসলামী মুল্যবোধকে আঘাত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন হাইকোর্টের ওই মূর্তি থাকা ঠিক না। এর আগেও সেখানে দাঁড়ি-পাল্লা মূর্তি ছিল। কিন্তু কী কারণে সেখানে গ্রিক মূর্তি স্থাপন করা হলো তা আমার বোধগম্য না। আমিও মনে করি ওই মূর্তি সরিয়ে ফেলা দরকার। মূর্তি না সরালে ইসলামি দলগুলো তো আন্দোলন করবেই। এখানে অন্যায় কিছু দেখছি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবং ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিসহ বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে এরশাদ বলেন, সামরিক চুক্তির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবো না। সামরিক চুক্তিতে কী কী বিষয় উল্লেখ করা আছে তা না জেনে কোনো মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে না। তবে তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তাদের দুই জনের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই তিস্তা চুক্তি করা হবে। সে কারণে আমি নিজেও মোদির আশ্বাসকে বিশ্বাস করতে চাই।
Advertisement
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাপা নেতা আব্দুর রউফ মানিকের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ তার পাশে বসা মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে দেখিয়ে বলেন, আমি অনেক আগেই তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এর কোনো পরিবর্তন হবে না। তাছাড়া আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। ফলে তার প্রার্থীই মেয়র নির্বাচিত হবেন।
এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে অবতরণ শেষে সড়ক পথে সার্কিট হাউসে পৌঁছে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন এরশাদ। পরে পল্লী নিবাসে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাঁচদিনের সফরে রংপুর গেছেন তিনি।
এ সময় রংপুর মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছীরসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জিতু কবীর/আরএআর/এমএস
Advertisement